Daily
এবার পুজোর ব্যাপারটাই আলাদা। দুবছর পর আবারও সেই গমগমে পুজো ফ্লেভার। তাই চারিদিকেই সেই পরিচিত ব্যাস্ততা। পুজোর আগে ঠিক যেই ব্যাস্ততা দেখতে আমরা অভ্যস্ত। মাটির ঘট, পট, ধুনুচি থেকে কুমোরটুলি পাড়া, সবখানে সেই চরম ব্যাস্ততা। আর সেই ব্যাস্ততা ক্যাপচার করতেই বিজনেস প্রাইম নিউজ পৌঁছে গিয়েছিল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফনগরের পালপাড়ায়।
মাটির রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পথেই মৃৎশিল্পী বিশু পালের বাড়ির। বাড়ি জুড়ে ভোঁ ভোঁ করছে ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধ। দাওয়া জুড়ে সাজানো রয়েছে সদ্য প্রস্তুত মাটির ধুনুচি, ঘট, ফুলদানি ইত্যাদি। আর উঠোনের এক কোণে চাকা ঘুরিয়ে কাজ করে চলেছেন স্বয়ং শিল্পী। তাঁর হাতের জাদুতে নিমেষের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে পুজোর সামগ্রী।
দু’বছর পর পুজো এবার জমজমাট। তাই আয়োজনও ষোল আনা। আর মাটির ধুনুচি কিংবা ঘট, সেগুলোর ডিম্যান্ড থাকে সবার আগে। এবারে চাহিদাটা বেড়েছে। তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে এখন এই সামগ্রী তৈরি করতেই ব্যস্ত শিল্পী।
উঠোনেই স্তূপাকৃতিভাবে সাজানো রয়েছে মাটি। সেখান থেকেই মাটি কেটে কেটে তাতে জল মিশিয়ে নরম করে বসানো হচ্ছে চাকার উপরে। তারপর চাকা ঘোরানোর সেই ঘড়ঘড় শব্দ। এবং সবশেষে তৈরি হচ্ছে মাটির সামগ্রী। যদিও ডিম্যান্ড হাই, কিন্তু জোগান দিতে কোথাও যেন বেগ পেতে হচ্ছে। কিন্তু কেন?
এলাকার প্রায় ২০-২৫ টা পরিবার এই মাটির কাজের সঙ্গে যুক্ত। বছরভর কাজ করেন তারা। কিন্তু পুজোর সময়টা স্বাভাবিকভাই অন্যকরম প্রত্যাশা তৈরি করে। লাভও খারাপ হয় না তাদের।
এবছর মাটির সামগ্রীর হাই ডিম্যান্ড আসা জাগিয়েছিল মৃৎশিল্পীদের মধ্যে। কিন্তু বেঁকে বসল প্রকৃতি। আর সেই চাপে পড়ে এখন জোগান দিতে বেগ পেতে হচ্ছে শিল্পীদের। স্বাভাবিকভাবেই, সুযোগ থাকলেও উপায় না থাকায় চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট শিল্পীদের কপালে।
অনুপ জয়সয়াল
উত্তর দিনাজপুর