Agriculture news
ফলন ভালো। বিক্রিবাট্টাও মন্দ নয়। রোগ পোকার আক্রমণও এবছর চোখে পড়েনি সেভাবে। তবুও আলু চাষে কেন বেগ পেতে হচ্ছে চাষি ভাইদের?
উৎস দক্ষিণ আমেরিকা হলেও ৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে আলু চাষের চল রয়েছে। ধান, গম, ভুট্টার পড়ে এটি ভারতের চতুর্থ অর্থকরী ফসল। অনান্য ফসলের চাহিদা কমবেশি ওঠানামা করলেও সব্জির রাজা আলুর চাহিদা ভারতবর্ষে সবসময়ই শীর্ষে থাকে। কাজেই চাষিভাইদের কাছেও আলু হয়ে উঠেছে অন্যতম লাভজনক ফসল। কিন্তু এবছর শীতকালে আলুর উৎপাদন ভালো হলেও লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না বাংলার কৃষকবন্ধুরা।
আয় বেশি, আর সফলতাও কোনোদিন হতাশ করে না। তাই বাংলার চাষি ভাইদের অন্যতম পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই আলু চাষ। বছরভর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে আলু চাষ হলেও অক্টোবরের শেষ নাগাদ আলুর বীজ বপন করেন বাংলার চাষিরা। তবে এই সময়টায় আলুর নাভি দশা রোগের জন্য ক্ষতির মুখোমুখি পড়েন তারা। কিন্তু এই বছরের ছবিটা একেবারে অন্য। ফলন এতটাই বেশি, যে কোল্ড স্টোরেজেও নাকি রাখার জায়গা হচ্ছে না। কোন রোগ দেখা যায়নি আলু চাষে, কাজেই হিসেব মতো লাভের অঙ্কটা ভালোই দাঁড়ানোর কথা ছিল তাদের। কিন্তু রোগপোকার আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে যে সমস্ত কীটনাশক বা ওষুধ ব্যবহার করতে হচ্ছে, তার খরচ বহন করতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে উঠছেন কৃষকরা।
এমআরপি রেটের থেকেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে সার। আর এই ব্ল্যাকমার্কেটিং-এর কারণে ফলন ভালো হলেও লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না কৃষকরা। এ বিষয়ে কৃষিদপ্তরের কী প্রতিক্রিয়া, শুনে নেব।
সারের চড়া দামের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরাও। আশ্বাস দিয়েছেন চাষিভাইদের পাশে থাকার। তবে, এতকিছু সত্ত্বেও এখন চাষি ভাইদের দিন ফেরে কি না, সেটাই দেখার।
অনুপ জয়সয়াল
উত্তর দিনাজপুর