Daily
বি পি এন ডেস্কঃ জগতসভায় শ্রেষ্ঠ আসনের জন্য মোদী সরকারের ভরসা ডিজিটাল ইন্ডিয়া। সংক্রমণের বহর কমাতে সেই পথেই চলছে ভ্যাক্সিনেশনের প্রক্রিয়াও। দেশের ২ কোটির বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন। কেন্দ্র থেকে রাজ্য- প্রত্যেকেই সংক্রমণ এড়াতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চালু রেখেছে এই ভ্যাক্সিনেশনের প্রক্রিয়া। কিন্তু সেখানেও কাজ করছে একটা বড় ধরণের বিভাজন। মুম্বই, দিল্লি, ব্যাঙ্গালোর এবং কলকাতার মত মেট্রো শহরগুলিতে ভ্যাক্সিনেশন থেকে বাদ পড়ছেন আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া একটা বড় অংশের মানুষ। কারণ হিসেবে ডিজিটালের একাদশী প্রভাব। আমাদের দেশে জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বসবাস করেন দারিদ্র্যসীমার নিচে। যাদের কাছে স্মার্টফোন কেনার মত আর্থিক স্বচ্ছলতাই নেই। ভ্যাক্সিনেশনের খবর দেশের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য যখন টেকনোলজি প্রধান অস্ত্র হয়ে দাঁড়াচ্ছে তখন এই সকল দরিদ্র মানুষের কাছে সরকারের ছড়িয়ে দেওয়া বার্তা সঠিকভাবে পৌঁছচ্ছেই না। তারই সরাসরি প্রভাব পড়ছে ভ্যাকসিন নেবার ক্ষেত্রেও। কোথায় নিতে হবে, কিভাবে নিতে হবে, টেকনোলজির সাপোর্ট- এই সবকিছুতেই খেই হারিয়ে ফেলছেন পিছিয়ে পড়া মানুষেরা। তাই প্রতিদিন হাসপাতালে করোনার প্রতিষেধক নেবার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক জনতার মধ্যে অভাব থেকে যাচ্ছে এক বিরাট সংখ্যার গরীব মানুষের। অভাব রয়েছে সচেতনতার ক্ষেত্রেও। কলকাতাতেও যাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা আছে, তাদেরই ভিড় নজর কাড়ছে প্রতিষেধক নেবার লাইনে। অন্যদিকে পিছিয়ে পড়া এই সকল মানুষেরা থেকে যাচ্ছেন বঞ্চিত। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা মানুষেরা কি ভ্যাকসিন নেবার দৌড়ে পিছিয়ে পড়বেন? এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হয়ত মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে এই দেশেও। সেক্ষেত্রে কোন পথ অবলম্বন করলে প্রত্যেকটি মানুষের শরীরে মিশে যাবে করোনার টিকা সেটাই দেখার।
ব্যুরো রিপোর্ট, বিজনেস প্রাইম নিউজ