Daily

রবিবার থেকে মঙ্গলবার। উত্তর থেকে দক্ষিণ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘটে চলেছে একের পর এক রাজনৈতিক হিংসা আর হানাহানির ঘটনা।
কোভিড আবহে বাংলার রং সবুজ হলেও সেই জয়ের আনন্দে দাগ ফেলছে রাজনৈতিক হিংসা আর হানাহানির একের পর এক ঘটনা।
কলকাতার সল্টলেক থেকে শুরু করে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ভাটপাড়া সহ হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুর সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা শিরোনামে উঠে এসেছে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা।
বিপুল সমর্থনের এই জয়ে রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা যে একেবারেই বেমানান তা বিলক্ষণ জানেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর সঙ্গে আলোচনা সেরে বেরোনোর সময় তিনি বারবার হিংসার পথ থেকে সবাইকে সরে আসতে অনুরোধ করেন। এমনকি রাজ্যপালও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজনৈতিক হিংসার বিষয়টি তুলে ধরেন। এর মধ্যেই প্রধান বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবিলম্বে এই হিংসা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
রাজ্যের এই রাজনৈতিক হানাহানিতে কেবল যে শুধু বিজেপি বা তৃণমূল কর্মীরাই হতাহত হচ্ছেন তাই নয়। মারা গিয়েছেন একজন বাম ও একজন আইএসএফ সমর্থকও। রাজ্যে ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যের ব্যাখ্যা তলব করেছে।
এদিকে বিজেপির নিহত বা আহত কর্মীদের পাশে এসে দাঁড়াতে রাজ্যে হাজির হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
একদিকে সন্ত্রাস ও একদিকে কোভিডের উত্তরোত্তর শক্তি বৃদ্ধির মধ্যেই আগামীকাল সকালে শপথ নিতে চলেছেন তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আশা, রাজ্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করেই মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিতভাবে পালন করবেন তার রাজধর্ম।
ব্যুরো রিপোর্ট