Daily
টাকার টান? কিন্তু ভাবছেন, ফ্রি ইলেক্ট্রিসিটির সুবিধা পেলে মন্দ হত না! শুধু আপনি বলে নয়। আজকের দিনে মূল্যবৃদ্ধির মার্কেট বিনামূল্যে কিছু মিলছে শুনলে এক্সাইটমেন্টের অবকাশ থাকে না। দেখুন ফ্রি ইলেক্ট্রিসিটির বন্দোবস্ত রয়েছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, হাত টান থাকলে সেই ফ্যাসিলিটি আপনি পাবেন কি করে? এই বিষয় নিয়ে অত আকাশ-পাতাল ভাবতে হবে না। ভিডিওটা শেষ পর্যন্ত দেখুন। সলিউশন পেয়ে যাবেন।
প্রকল্পের নাম পিএম সূর্যঘর যোজনা। যেখানে একজন গ্রাহক পেয়ে যাবেন ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত ইলেক্ট্রিসিটি একেবারে ফ্রি। উপরন্তু এই প্রকল্পের আওতায় আপনি পেয়ে যাবেন সরকারী সাবসিডি। মিনিমাম ৩০ হাজার টাকা। এইটুকু আপনারা সকলেই জানেন। কী জানেন না জানেন? কিন্তু কবে থেকে ইন্সটলেশন শুরু হবে? কারণ সেটা না হলে তো সাবসিডি পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে না। খুব শীঘ্রই। আর এই মুহূর্তে একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অ্যাপ্লিকেশন অ্যাপ্রুভালের কাজ চলছে।
দেখুন, প্রথমেই যেহেতু সাবসিডির টাকা আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না, সেহেতু প্রথমে কিছু টাকা আপ্নাকেই ইনভেস্ট করতে হবে। তবে সেটা লাখ-খানেক। কাজেই এই মুহূর্তে সেই টাকাটা না থাকলে আপনি লোন নিতে পারেন। এক্ষেত্রে এসবিআই আপনাকে সাহায্য করতে পারে। পিএম সূর্যঘর যোজনার গ্রাহকদের লোণ পেতে যাতে অসুবিধা যাতে না হয়, তার জন্য বিশেষ স্কিম নিয়ে এসেছে এসবিআই। তবে সেটা শর্তসাপেক্ষ। কি কি শর্ত দেওয়া হয়েছে এসবিআইএর তরফে? দেখে নিন।
আপনার প্রপার্টিতে ৩ কিলোওয়াট পর্যন্ত সোলার ইন্সটলেশনের জন্য আপনার কোন ইনকাম বেরিয়ার নেই। মানে মিনিমাম কোন ইনকাম এভিডেন্স আপনাকে দেখাতে হবে না। কিন্তু আপনি যদি ৩-১০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার ইন্সটলেশনের পথে হাঁটেন, সেক্ষেত্রে আপনার ইনকাম কিন্তু ৩ লাখ টাকার বেশি হতে হবে। এবং সেই সংক্রান্ত একটা নথি আপনাকে ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে।
৩ কিলোওয়াট ক্যাপাসিটির জন্য আপনি ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোণ পাবেন বার্ষিক ৭% ইন্টারেস্টে। আর ৩-১০ কিলোওয়াট ক্যাপাসিটির জন্য আপনি ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত লোণ পাবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে বার্ষিক সুদের হার হবে ১০.১৫%। ৬৫-৭০ বছর বয়সী ব্যক্তিও কিন্তু এই লোণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পিএম সূর্যঘর যোজনায় নাম লেখাতে পারেন আপনিও। তবে আপনাকে ভারতীয় হতে হবে। ভারতের যেকোনো প্রান্ত থেকে এই প্রকল্পের আওতায় অ্যাপ্ল্যাই করা যাবে। আপনার বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। আর আধার কার্ড লিঙ্কড একটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। যেখানে সরকারী সাবসিডির টাকা আসবে। এই প্রকল্পের আওতায় ১.২৮ কোটি লোক ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়ে ফেলেছেন। কাজেই এই সংখ্যা শুনে এটুকু নিশ্চিত যে, পিএম সূর্যঘর যোজনা একেবারে বাম্পার হিট।
বাড়তে থাকা বিদ্যুতের মাসুল গুনতে গুনতে সাধারণ মানুষ যখন বিপর্যস্ত, তখন পিএম সূর্যঘর যোজনা একটা দারুন চেঞ্জ নিয়ে এসেছে। লাখে লাখে মানুষ এখন এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চাইছেন। ফলে একদিকে যেমন পয়সা বাঁচছে, অন্যদিকে তেমন পরিবেশও বাঁচছে। দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের জন্য এই স্কিম যে একেবারে বাম্পার হিট, টা বলাই যায়।
সঙ্গে থেকুন দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।