Science & Technology
এই নিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে মোদী সরকার। গত টার্মে মোদী সরকার দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছিল মহাকাশে। চমকে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। এবার মোদীর প্ল্যান আরও বড় চমক দেবার জন্য অপেক্ষা করছে। মনে করা হচ্ছে, সবকিছু ঠিকঠাকভাবে চললে চিন, আমেরিকা বা রাশিয়ার মত প্রথম সারির দেশগুলোর রাতের ঘুম উড়ে যাবে। এখন প্রশ্ন কী এমন প্ল্যান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? সেটাই বলব আজকের প্রতিবেদনে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন তাঁর সেকেন্ড টার্মে ছিলেন, তখন ইসরো চন্দ্রমিশন এবং সৌর মিশনে নম্বর ওয়ানে চলে আসে। আপনাদের মনে আছে নিশ্চয়ই যে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডার, রোভার সাফল্যের সঙ্গে অবতরণ করায়। সেই দক্ষিণ মেরু, যেখানে আর কেউ কোনদিন অবতরণ করানোর সাহস পায় নি এবং সাফল্য অর্জন করেনি, সেই দক্ষিণ মেরুতেই ভারত ল্যান্ড করিয়েছিল চন্দ্রযান ৩। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের জন্য ছিল সেটা বড় গৌরবের এবং গোটা দেশবাসীর জন্য তো বটেই। এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেবার পরে অবশ্য ইসরো বসে থাকে নি। নিয়ে আসে তারপর সৌর মহাকাশ মিশন, যা চালু করে আদিত্য এল ওয়ান। এটি বর্তমানে পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে ল্যাংগ্রাজ পয়েন্ট ওয়ানে মানমন্দির মহাকাশযান পার্ক করিয়েছে। সেটাও তো বড় গৌরবের বিষয়। তবে এবারে যেন সব দিক ছাপিয়ে যাবার কথাই শোনা যাচ্ছে। কিরকম?
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর তৃতীয় টার্মে মহাকাশ এবং পরমাণু শক্তি বিভাগের প্রধান হতে চলেছেন। ফলে এখন এই পুরো বিষয়টাই তাঁর নিজের তত্ত্বাবধানে থাকবে। তাই মনে করা হচ্ছে, মহাকাশ খাতের জন্য বেসরকারি কোম্পানিগুলো আরও ভালোভাবে যাতে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারে তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সবধরণের প্রচেষ্টা করা হবে। ইসরোর সঙ্গে বেসরকারি কোম্পানি যেমন স্কাই রুট, এরোস্পেসের মত কোম্পানিগুলো ভবিষ্যতে যদি আরও কাজ করতে পারে তাহলে মহাকাশখাতে নিজেদের দখলদারি অনেকটাই বাড়িয়ে ফেলতে পারবে ভারত। আমরা সকলেই জানি যে, মোদী সরকার আসার পর থেকেই কম্পিউটিং সেক্টরে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে ভারত। শুধু কম্পিউটিং বলেই নয়, এআই-তেও যেন ভারতের উন্নতি খুব র্যাপিডলি হচ্ছে।
ভারতীয় বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের মত উদ্যোগ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় নতুন একটা দৃষ্টিভঙ্গি দেখাবে। তার জন্য মোদীর তৃতীয়বার সরকারে আসার ফলে সেই আশা অনেকটাই বাস্তবায়িত হতে পারে। এখন যা সময় তাতে ভারতীয়দের মধ্যে মেশিন লার্নিং, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ব্যপক কৌতূহল তৈরি করেছে। বহু ভারতীয় পড়ুয়াদের মধ্যে এই বিষয়গুলো নিয়ে উচ্চ শিক্ষা করার আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর মহাকাশখাতে নিজের দাদাগিরি দেখানোর জন্য এই সকল বিষয় হাতের নাগালের মধ্যে রাখতেই হবে। না-হলে ভালোরকম ভরাডুবি হতে পারে। মোদী সরকার যেভাবে সেকেন্ড টার্মে মহাকাশে ভারতের দাদাগিরি দেখানোর স্বপ্ন বুনেছিলেন, আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছিল ইসরো, এবার তৃতীয় টার্মেও সেটাই হবে। হয়ত বা আরও বড় কিছু হতে পারে। তবে একটা বিষয় কী জানেন? মহাকাশ খাতে গবেষণার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ কিন্তু কমেছে প্রায় ৯ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মহাকাশ গবেষণার জন্য বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা সেখানে এই বছরে বরাদ্দ কমে হয়েছে ১২ হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা। তবে হ্যাঁ, ভারত মহাকাশ খাতে কম খরচে যা করে দেখিয়েছে সেটা বিশ্বের আর কোন দেশ করতে পারেনি। আপনাদের মঙ্গলযানের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। তাই এবার বরাদ্দ কমে গেলেও ভারত মহাকাশে কিভাবে দাদাগিরি দেখাবে সেটাই এখন দেখার। আপনারা বরং ততক্ষণ দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ