Daily
লাল জবা ছাড়া কালি পুজো? ইম্পসিবেল! এদিকে প্রাকৃতিক উপায়ে জবা উৎপাদনে দেখা দিয়েছে ঘাটতি। ভিলেন? আবহাওয়া। কিন্তু কেবল ফুলের অভাবে কি আর মায়ের পুজো আটকে থাকতে পারে? কখনই না। তাই এই লাল জবার সাবস্টিটিউট হিসাবে এখন বাজার দখল করেছে প্লাস্টিকের জবা। আর এই প্লাস্টিকের লাল জবার মালা তৈরি করতে এখন রাত দিন এক করে কাজে লেগে পড়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ, কাঞ্চনপল্লী ও কান্তনগর সহ বিভিন্ন এলাকার প্রতিটি পরিবার।
মহাজন বা কারখানার মালিকদের কাছ থেকে লাল প্ল্যাস্টিকের কাগজ নিয়ে এসে, প্রত্যেকে যার যার বাড়িতে বা কারখানায় বসে তৈরি করে চলেছেন এই লাল জবার মালা। দিনরাত এক করে সামান্য কিছু লাভের আশায় পড়াশুনার ফাঁকে মালা তৈরিতে হাত লাগিয়েছে স্কুল কলেজের ছাত্রীরাও।
সারাবছর এই মালার চাহিদা খুব একটা থাকে না। কিন্তু কালি পুজোর সময় বেশ ভালোই অর্ডার মেলে এই মালা তৈরির।
খুব একটা মুনাফা না থাকলেও, এই মালা বানিয়েই কিছুটা হলেও আত্মনির্ভর হচ্ছে সেই এলাকার ক্ষুদে শিল্পীরাও।
প্রত্যেক বাবা মা-ই চায় তাদের ছেলে মেয়েরা যেন দুধে ভাতে জীবন-যাপন করে। কিন্তু সাংসারিক দারিদ্রতা আর অভাবের জেরে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ক্ষুদে ক্ষুদে শিল্পীদেরও হাত লাগাতে হয়েছে মালা তৈরির কাজে।
শ্যামা মায়ের গলায় লাল জবার মালা তুলে দিতে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে সুভাষগঞ্জ সহ আশেপাশের এলাকার মালা শিল্পীদের। এখন এই মালা তৈরি তাদের কতটা স্বনির্ভর করে তোলে সেটাই দেখার।
অনুপ জয়সয়াল
উত্তর দিনাজপুর