Daily
শিলিগুড়ির বুকে অবস্থিত ছোট্ট গ্রাম মাটিগাড়া। এখানকার প্রায় ৪০০ টি পরিবারের জীবিকা বলতে শুধুই মৃৎশিল্প। প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানকার মানুষজন আগলে রেখেছেন এই শিল্পকে। অতিমারির মধ্যেও অভাব-অনটনের সাথে যুদ্ধ করে দাঁতে দাঁত চেপে খুঁটি আগলেছেন বাপ-দাদার আমলের এই শিল্পের। কিন্তু, তাতেও শেষ রক্ষা হচ্ছে কি?
প্লাস্টিকের রাজত্বে খেই হারিয়েছে মাটির জিনিসের কদর। আর ঠিক যে কারণে, দেওয়ালে পিঠ থেকেছে মৃৎশিল্পের। করোনাকালে গৃহবন্দী মানুষের জীবনে গাছ লাগানোর প্রবণতা বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু সেটাও প্লাস্টিকের টবে। ফলে বিক্রি কমেছে মাটির টবের। চরম ক্ষতির শিকার শিল্পীরা।
বিক্রি কমার অন্যতম কারণ হচ্ছে মাটির দাম বৃদ্ধি। মাটি কিনতে সরকারকে একটা বড় অংশের ট্যাক্স দিতে হয় শিল্পীদের। বেড়েছে আনুসাঙ্গিক জিনিসের দাম। দুবেলার খাবার যোগাড় করতে বাধ্য হয়ে ভিটে মাটি ছাড়তে হচ্ছে বাড়ির ছেলে বউকে।
প্লাস্টিকের টব বেশিদিন টেকসই। তাই মাটির টবের অস্তিত্ব আজ বিলীন হওয়ার মুখে। শিল্পের ক্ষতটা যে কত বড়, সেটা আরও বিস্তারিত জানালেন বিক্রেতা রঞ্জন সরকার।
মাটিগাড়ার নামেই আজ শুধু মাটির অস্তিত্ব রয়েছে, শিল্প, কেবলই সংকটের মুখে। এখন শুধুই দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন মাটিগাড়ার মৃৎশিল্পীরা।
অরূপ পোদ্দার
শিলিগুড়ি