Trending
একটা সময় ছিল, যখন প্লাস্টিক নয়। বরং সাধারণ মানুষের হাতে ক্যারিব্যাগ হিসেবে উঠে আসত পাটের তৈরি ব্যাগ। কিন্তু যেদিন থেকে সমাজের প্রতিটি জায়গায় প্লাস্টিক ব্যবহারের রমরমা বৃদ্ধি পেল, সেদিন থেকেই সবার অজান্তে পরিবেশের উপর পড়তে শুরু করল নেতিবাচক প্রভাব। এরপর যত পেরিয়েছে সময়, ততই জমেছে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বর্জ্য। পরিবেশ কতটা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, সেই বিষয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকেই উঠছে রব। কিন্তু আমরা কি আদৌ সেইভাবে সচেতন? সচেতন পৃথিবীকে বাঁচাতে?
আমাদের রাজ্যে যে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হয়, তার ১০ শতাংশ তৈরি হয় এই প্লাস্টিক থেকেই। আর এই সমস্যা শুধু একা রাজ্যের নয়। বরং গোটা দেশের। আর যে কারণেই বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহার করে সম্পদে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কারণ বাঁচাতে হবে পরিবেশ। আর সেই লক্ষ্যেই একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহারে চাপানো হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা, ১ জুলাই থেকে। নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, রাজ্য পরিবেশ দফতর। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন পশ্চিমবঙ্গ পলিউশন কনট্রোল বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র।
তিনি মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেয়ারী টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। তিনি জানান, ডেয়ারি শিল্পের হাত ধরে তৈরি হয় প্রচুর লিকুইড ওয়েস্ট। যা অত্যন্ত ক্ষতিকারক মিথেন গ্যাসের প্রসার ঘটায়। এই বর্জ্য যদি নদীতে যায় তাহলে নদীতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার আধিক্য ঘটে। আর এটাই জল দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। এমনকি সেই ক্ষতির প্রভাব এসে পড়ে প্রাণীসম্পদের ওপরে।
এই ন্যাশনাল সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহনপুর ক্যাম্পাসে। যেখানে বিষয় ছিল ডেয়ারিং সাস্টেনিবিলিটি ইন হারমনি উইথ ন্যাচার। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য চঞ্চল গুহ, ডেয়ারি টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন টি কে মাইতি সহ প্রমূখ। দায়িত্ব যেমন সরকারের। দায়িত্ব তেমন সাধারণ মানুষের। প্লাস্টিক ব্যবহার আমি করব না। তারপর সেই কথাটা বলতে হবে আমার প্রতিবেশীকেই। এভাবেই চেন সিস্টেমে মানুষের মধ্যে বাড়াতে হবে সচেতনতা। কারণ মনে রাখতে হবে, পৃথিবীর রসদ ফুরিয়ে আসছে। তাই প্রচলিত শক্তির ব্যবহার কমিয়ে জোর দিতে হবে অপ্রচলিত শক্তির উপরে। আর সাধারণ মানুষ যদি সচেতন হন, তাহলেই বাঁচবে পৃথিবী।