Agriculture news
কথাতেই আছে, বাঙালি ভোজনরসিক। স্বাদে-গন্ধে-ভারসাটাইলিটিতে একেবারে একঘর যাকে বলে। এক এক ঋতুতে এক এক খাবার, মানে যাকে বলে আহারে বাহার। ভ্যাপসা গরমে যেমন এক পশলা বৃষ্টির মত শান্তি দেয় আম টক বা আমডাল, স্যাঁতস্যাঁতে বর্ষায় জিভে জল নিয়ে আসে খিচুরি আর বেগুন ভাজা। ঠিক তেমনই শীত আসলেই পিঠে আর নলেন গুড়ের পায়েসের জন্য মনটা কেমন আকুল হয়ে ওঠে। মা ঠাকুমাদের হাতের সেই সুস্বাদু পিঠে পায়েস। কিন্তু আজ আর অত আয়োজন করে পিঠে পায়েস বানানোর সময় কোথায়? সবাই ব্যস্ত।
তবে, মা ঠাকুমাদের হাতের সেই পিঠে পায়েশের স্বাদ কিন্তু আজও পেয়ে যেতে পারেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এলাকার মহেন্দ্রগঞ্জে। প্রেমচাঁদ বর্মণের দোকানে। দীর্ঘ ২০ বছরের পিঠে পুলির ব্যবসা তার। তবে, শীতের সময়টুকুতেই তার তৈরি পিঠে চেখে দেখতে পারেন আপনি। ভাপা পিঠে, পাটিসাপটা, মালপোয়া- আরও অনেক কিছু। আর এই পিঠে বিক্রি করেই প্রতিদিন তিনি রোজগার করেন প্রায় ৫০০০ হাজার টাকা।
জাঁকিয়ে শীত পড়লেও তার হাতের তৈরি পীঠের ঘরোয়া স্বাদ নিতে ৮ থেকে ৮০-র ভিড় রয়েছে চোখে পড়ার মত। প্রচুর মানুষ তার হাতের তৈরি এই পিঠের স্বাদ নিতে পৌঁছে গিয়েছেন প্রেমচাঁদ বাবুর দোকানে।
বছরের অনান্য সময় নিজস্ব জমিতে কৃষিকাজ করলেও, একটু বাড়তি রোজগারের আশায় এই কটা দিন শুধু পিঠে পুলির ব্যবসাতেই মনোযোগ দেন তিনি। আর দিনশেষে ক্রেতাদের হাসিমুখ দেখে হাসি ফোটে প্রেমচাঁদ বাবুর মুখেও।
অনুপ জয়সয়াল
উত্তর দিনাজপুর