Agriculture news
মূল্যবৃদ্ধির কোপ পড়েছে হাটে-বাজারে। এমনি সব্জিবাজার করতে গিয়েই ছেঁকা খাচ্ছেন ক্রেতারা। একই অবস্থা ফলের বাজারেও। কিন্তু গরম পড়লে বাংলাবাসীর মুখে আনারস উঠবে না, সেটা হয় নাকি? আমাদের রাজ্যে ভালোরকম আনারসের ফলন হয় উত্তর দিনাজপুরের চোপরায়। কিন্তু ফলন ভালো হলেই কি সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব? থাকতে হবে ভালোরকম চাহিদা। আর শুধু চাহিদা থাকলেই কি চাষিদের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে? রাজ্যের কৃষকদের হাতে দিনের শেষে কতটা লাভের অঙ্ক থাকল, সেদিকেও তো খেয়াল রাখতে হবে। আনারস চাষিদের অবস্থা কেমন? এই খবর নিতেই উত্তর দিনাজপুরের চোপরা ব্লকে পৌঁছে গেছিলেন বিজনেস প্রাইম নিউজের প্রতিনিধি। বিস্তারিত জানতে স্কিপ না-করে দেখুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন।
উত্তর দিনাজপুরের চোপরার আনারস পাড়ি দেয় বাংলা ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে। তার মধ্যে অন্যতম দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানার মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে। প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরেও উত্তরবঙ্গের চোপরা ব্লকের আনারস পাড়ি দেবে বিভিন্ন রাজ্যে। বড় বড় লড়িতে চলে যাচ্ছে সেই সকল আনারস। হঠাৎ দেখলে মনে হতে পারে আসলে যেন বিশাল এক কর্মযজ্ঞ চলছে। সত্যি বলতে কী, কর্মযজ্ঞ তো চলছেই। কিন্তু ব্যবসা কি আর সত্যি আগের মতন রয়েছে? চাষিদের বক্তব্য কিছুটা অন্যরকম। তাঁদের কথায়, আনারস চাষের পরিমাণ যেন বছর বছর কমছে। এদিকে দাম বাড়ছে রাসায়নিক সারের। ফলে আনারস চাষ যথেষ্ট পরিমাণে হলেও সেভাবে লাভবান হতে পারছেন না আনারস চাষিরা।
এই বছর আনারস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কিলো ১৩ টাকা, ১৭ টাকা দরে। গতবারের তুলনায় এই বছরে আনারসের দাম খুব একটা কম নেই। কিন্তু চাষিদের খরচ নিত্যদিন বাড়ছে। এই বাড়তি খরচ ক্রমশ কঠিন করে তুলছে পরিস্থিতি। ফলে দিনের শেষে আনারস উৎপাদন অনেকটা হলেও লাভের পরিমাণ দিনের শেষে কৃষকদের হাতে থাকছে না। তারই জেরে এবার ভালোরকম সমস্যায় পড়েছেন আনারস চাষিরা। এখন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ সরকার যদি না-করতে পারে তাহলে আর কিভাবে আনারস চাষিরা দিনের শেষে হেঁসেল টানবেন? সেই প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই গেল। প্রতিবেদনটি লাইক করুন, শেয়ার করুন। সঙ্গে নতুন হলে সাবস্ক্রাইব করে নিন আমাদের চ্যানেল।
অনুপ জয়সোয়াল
উত্তর দিনাজপুর