Daily
নদীর পাড়ে বাসা, ভাগ্যে রয়েছে ভাসা। দিন যায় মাস আসে। মাস পেরিয়ে বছর। নদীর পাড়ে বাসা বলে ভাগ্যে ভাসা রয়েছে ধরেই নিয়েছেন হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার দুলদুলি, ভান্ডার খালি, সাহেব খালি, খুলনা হাটগাছা সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষরা ।
আইলা, আম্ফান, বুলবুলের মত ফিবছরের ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে প্রতি বছরের বর্ষার সঙ্গে অমাবস্যা আর পূর্ণিমার ভরা কটাল।
সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ সন্দেশখালির হাজার হাজার মানুষ প্রতিবছর বাপের বাড়ি যাবার মত করে অন্তত একবার ঘুরে আসেন স্থানীয় সাইক্লোন সেন্টার কিংবা হাই স্কুল গুলিতে।
ভান্ডার খালির ভরত দাস, চন্দনা সরকার, মধুসূদন মান্না সবাই আজ একসাথে দাবি তুলেছেন, চাই কংক্রিটের পাকা বাঁধ।
সামনে অমাবস্যার ভরা কোটাল। তার উপর রয়েছে নতুন করে টানা চারদিন ধরে প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস। এদিকে ইয়াস চলে যাবার পর পার হয়ে গিয়েছে দু সপ্তাহ। এখনও বহু মানুষ নিজেদের বাড়িতে পর্যন্ত ফিরতে পারেননি। রয়েছেন বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরের।
বিজনেস প্রাইম নিউজের ক্যামেরায় উঠে আসলো মানুষদের চাহিদাগুলো। এখনো নদীর পাড়ে রয়েছে ইয়াসের ক্ষতচিহ্ন। নদীর পাড়ের মানুষ গুলো আবারও প্রহর গুনছেন। কি জানি কি হয়। ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে ভরত দাস বলেই ফেললেন চাই পাকা বাঁধ।
ইছামতি, রায়মঙ্গল, ডাসা, কালিন্দী সহ বিভিন্ন নদী ঘিরে রেখেছে সুন্দরবন লাগোয়া সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জকে। বানভাসি হওয়াটাই নাকি এখানকার ভবিতব্য। ছেলে মেয়ে নিয়ে যাতে আর বানভাসি হতে না হয় তার দাবি তুললেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্থানীয় যুবক।
সামনে অমাবস্যার ভরা কোটাল তার সঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার টানা চারদিনের প্রবল বর্ষণে কি হবে এখানকার অঞ্চলের মানুষদের? নদীর পাড়ে দাড়িয়ে এমন আশঙ্কার কথা শোনালেন গ্রামের আটপৌরে মহিলা চন্দনা সরকার।
পাকা বাঁধের দাবিতে এলাকার সাধারণ মানুষ এবার এককাট্টা। ত্রাণ নয় পরিত্রান চাইছেন এখানকার মানুষ। এলাকার মানুষের দাবী শোনা গেল হিঙ্গলগঞ্জ স্থানীয় বিধায়ক দেবেশ মন্ডলের বলাতেও।
ইয়াসের ক্ষত এখনো দগদগে এখানকার মানুষদের মনে। লঞ্চে কিংবা নৌকায় এই অঞ্চলে আসলেই দেখা মিলবে ইয়াসের তাণ্ডবের ছবি। তার উপর ভরা কোটাল আর বর্ষায় বানভাসি হওয়ার দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন এখানকার সাধারণ মানুষ। এখন মুক্তি কবে আসে সেটাই এখন দেখার।
হিঙ্গলগঞ্জ থেকে অঙ্কিত মুখার্জি রিপোর্ট, বিজনেস প্রাইম নিউজ।