Market
মোদি সরকার বারবার দেশবাসীকে শেয়ারে লগ্নি করার পরামর্শ দিলেও সেই ঝুঁকি অনেকেই নিতে চাইছেন না। তার অন্যতম কারণ হল অতিমারি। করোনার জোড়ালো কামড়ে এমনিতেই পঙ্গু হয়েছে অর্থনীতি। অন্যদিকে মানুষের হাতে কমেছে পুঁজি, বেড়েছে অনিশ্চয়তা। তাই স্বল্প বিনিয়োগ করে বেশি রিটার্নের আশায় আমজনতার একাংশের আগ্রহ তৈরি হচ্ছে মিউচুয়াল ফান্ডে। ফান্ডের এসআইপি বা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানে ঝুঁকি থাকলেও শেয়ারের চেয়ে তা অনেকটাই কম। মাসে মাসে সাধ্যমত লগ্নি করেও এই অ্যাকাউন্ট জীবিত রাখা যায়। আর এসবের জন্যই দেশবাসীর মধ্যে এসআইপির জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে এসআইপির ফান্ডে।
জানা গিয়েছে, অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যেও এই ফান্ডে অর্থ জমা হয়েছে ৯৬,০৮০ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের এপ্রিলে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল ৫.৮৮ লক্ষ। এবং এক মাসের মধ্যে সেই অঙ্ক পৌঁছে যায় ১৫.৪৮ লক্ষে।
দেখা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের চেয়ে শেয়ার নির্ভর ফান্ডে রিটার্ন বেশি পাবার সম্ভাবনা থাকে। আর তাই দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২০-২১ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কে জমার হার ছিল ৭.৭%। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে যা নেমে আসে ৩%-এরও নিচে। মনে করা হচ্ছে, গৃহস্থের সঞ্চয় অনেকটাই কমে এসেছে চিকিৎসা খরচ এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জন্য। আর যে কারণে কম লগ্নিতে অধিক রিটার্নের দিকেই ঝুঁকছেন আমজনতা।
ব্যুরো রিপোর্ট