Story

মাছ চাষে ক্রমশই নিজের প্রভাব ছড়িয়ে দিচ্ছে আমাদের বাংলা। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় এবং মৎস্য দফতরের নিরন্তর প্রয়াসের জন্য আজ বাংলা গোটা দেশে মাছ চাষের বেনজির দিশা দেখাচ্ছে। সেই ছবি হলদিয়া থেকে তুলে ধরলেন বিজনেস প্রাইম নিউজের প্রতিনিধি।
দেশের মধ্যে একমাত্র মণিপুর। আর গোটা বিশ্বে একমাত্র চিন এবং মায়ানমারে চাষ হয় পেংবা মাছের। মণিপুরের রাজ্য মাছ হলেও আজ পেংবা মাছের অস্তিত্ব ক্রমশই সংকটে পড়ছে মণিপুরে। কিন্তু একেবারে বিপরীত ছবিটা ফুটে উঠল আমাদের বাংলায়। একদিকে যখন হারিয়ে যাওয়া পেংবা মাছ নিয়ে উদ্বিগ্ন মনিপুর তখন হলদিয়ার হাত ধরে বাংলায় পেংবা মাছ চাষের প্রসার বেড়েই চলেছে। এমনিতে পেংবা মাছ বেশ সুস্বাদু। ফলে চাহিদাও তৈরি হচ্ছে ভালোরকম। আর পেংবা মাছ চাষ করে যেমন সহজ। তেমনি লাভজনক। এমনিতে পেংবা শাকাহারি মাছ। বাড়ির পুকুরের সবুজ আগাছা খেয়ে বেড়ে ওঠে। তাই খুব সহজেই পেংবা মাছের চাষ করা যায়। রুই, কাতলার সাথে মিশ্রভাবে পেংবা মাছ চাষ করলে দিনের শেষে লাভের মুখ দেখতে পান মাছচাষিরাই।
সম্প্রতি নৈহাটীর ভৌমিক হ্যাচারী হলদিয়া ব্লকের মৎস্য খামার থেকে প্রজননক্ষম পেংবা বা ব্রুডার মাছ সংগ্রহ করতে আসেন। তিনি নিজেও বুঝতে পেরেছেন রাজ্যে প্রতিদিনই পেংবা মাছের চাহিদা ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। তাই হ্যাচারি মালিকেরা এখন পেংবা মাছের ব্রিডিং শুরু করে দিয়েছেন। যে কারণে পেংবা মাছ মণিপুরে অবলুপ্তির পথে হাঁটলেও আমাদের রাজ্যে বাজার ধরার প্রতিযোগিতায় জোর নেমে পড়েছে। উৎসাহ তৈরি হচ্ছে হ্যাচারি মালিকদের।
মণিপুরের লোকটাক হ্রদ। উত্তর পূর্ব্ব ভারতের সর্ববৃহৎ মিষ্টি জলের হ্রদ। এই হ্রদটি হল পেংবা মাছের প্রজনন ক্ষেত্র। যা অবলুপ্তির পথে। কিন্তু একদিকে যখন মণিপুরে কার্যত হারিয়ে যেতে বসেছে পেংবা মাছের অস্তিত্ব। তখন পেংবা মাছ চাষে হলদিয়া দেখাচ্ছে দিশা। মাছ চাষের পাশাপাশি চাষিরাও যাতে সবদিক থেকে লাভবান হন সেদিকেও খেয়াল রেখেছে মৎস্য দফতর। এমনকি হলদিয়াতে বহু মহিলারাও এখন এগিয়ে আসছেন মাছ চাষের জন্য।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর