Market
জোমাটো বা নায়কা যখন শেয়ার বাজারে খাতা খোলে তখন এই সংস্থাগুলি বড়সড় লাভের মুখ দেখে। এবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছিল পেটিএম। বাজার বিশেষজ্ঞরা আশা করেছিল, পেটিএম শেয়ার বাজারে ভালোরকম ছাপ ফেলতে পারবে। কিন্তু বাস্তবে হল উলটপুরান।
শেয়ার বাজারে ওপেনিং করতে নেমেই এক ধাক্কায় পেটিএমের শেয়ার পড়ে ২৬%। পেটিএমের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ১৯৬০ টাকা এবং শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম পড়ে ১৫০০ টাকায়। পেটিএমের এই হতাশাজনক ওপেনিংয়ের কারণে বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে হয় বিনিয়োগকারীদের।
২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছরেই অল্প অল্প করে কমছে পেটিএমের ক্ষতির অঙ্ক। ২০১৯ সালে যেখানে সংস্থার ক্ষতির অঙ্ক পৌঁছে গিয়েছিল ৪২৩০ কোটি টাকায়, ২০২০ সালে সেই অঙ্ক দাঁড়ায় ২৯৪২ কোটি টাকায়। তবে আয়ের নিরিখে এগিয়ে আছে গত বছর। ২০২০ সালে সংস্থার মোট আয় যেখানে ছিল ৩৫৪০ কোটি টাকা। এই বছর সেই আয় আরো একটু কমে দাঁড়ায় ৩১৮৬ কোটি টাকায়। বর্তমানে ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপ বলতে পেটিএমের উপরেই গ্রাহক নির্ভর করেন বেশি। সেদিক থেকে এই সংস্থার গ্রহণযোগ্যতা অন্যান্য অ্যাপের তুলনায় অনেকটাই বেশি। স্বাভাবিকভাবেই পেটিএম শেয়ার বাজারে ঢুকে পড়ার খবর চাউর হতেই লগ্নিকারীদের মধ্যে ব্যপক আশা তৈরি হয়। কিন্তু সব আশাতেই জল ঢেলে দিল পেটিএম।
ব্যুরো রিপোর্ট