Daily

বাম আমলে ২০০৪ সালে তৎকালীন উদ্যানপালন দপ্তরের মন্ত্রী শৈলেন সরকার উদ্বোধন করেছিলেন পাঁশকুড়ার ফুলবাজার এবং হিমঘরের। যদিও হিমঘর নিয়ে সমস্যা প্রতিদিনই বাড়তে থাকে পাঁশকুড়ার ফুলচাষিদের মধ্যে। তার উপর করোনার জন্য দু’বছর ফুলবাজার বন্ধ থাকায় এই হিমঘরের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। চুরি হয়ে যায় হিমঘরের ২টি এসি মেশিন সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। যার দরুন কার্যত হিমঘুমে চলে যায় এই হিমঘর।
তাই এ বছর শীতের মরশুমে ফুলের উৎপাদন শুরু হওয়ায় হিমঘরটি ফের খোলার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে প্রশাসন। নতুন মেশিন লাগিয়ে আগামী ২৫ শে ডিসেম্বরকে সামনে রেখে, কৃষকদের একত্রিত করে সম্মেলনের মাধ্যমে ফুলবাজারটি আরো জাঁকিয়ে এবং হিমঘরটি পুনরায় চালু করতে নেওয়া হল উদ্যোগ। সম্প্রতি সেই উদ্দ্যেশ্যেই পাঁশকুড়া ফুলবাজারে ফুলবাজার পরিচালন সমিতির এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করা হয়। যে বৈঠকে উঠে আসে হিমঘর চালুর প্রসঙ্গ। একইসঙ্গে বাজারের পরিকাঠামো উন্নয়ন সহ আরো বিভিন্ন বিষয়।
হিমঘর সহ এই ফুলবাজারের গুরুত্ব পাঁশকুড়ার ফুলচাষিদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ফুলবাজার এবং হিমঘর ফের চালু করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সঙ্গে রয়েছে আরো কিছু দাবি। ফুলচাষিদের স্বার্থেই।
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ফুলচাষের জন্য গোটা রাজ্যেই বিখ্যাত। এই ব্লকের বহু মানুষ ফুলচাষের সাথে যুক্ত। যে কারণে ফুলের জন্য হিমঘরের গুরুত্ব খুবই উল্লেখযোগ্য। তাই হিমঘর চালু হলে আখেরে লাভবান হবেন পাঁশকুড়ার ফুলচাষিরাই। সেদিনের ডাকা এই বৈঠক নিঃসন্দেহে ফুলচাষিদের অনেক সমস্যারই সমাধান করে দেবে। সেদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান তথা তমলুকের এস.ডি.ও. শৌভিক ভট্টাচার্য, হটিকালচার দপ্তরের উপ অধিকর্তা স্বপন শীট, সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক,পাঁশকুড়া-১ ব্লকের বি ডি ও ধেনদুপ ভুটিয়া,পৌরসভার চেয়ারম্যান নন্দ মিশ্র প্রমূখ।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর