Market
চীনের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হবার পরে ভারত আত্মনির্ভর হবার দিকে এগোনোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু দেশীয় বাজারে চিনে পণ্যের এখনও রমরমা। যার দাম অন্যান্য পণ্যের থেকে অনেকটাই কম। আর এই কারণে চিনে পণ্যকে বর্জন করার মত সাহস অনেকেই দেখান নি। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে যে চিনে পণ্য ক্রয় করতে অনেকেই অনীহা প্রকাশ করেছেন। ফলে, গত ১২ মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চিনে পণ্যের ক্রেতা।
সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে ৪৩ শতাংশ মানুষ বলছেন তারা চীনের তৈরি কোন জিনিস ক্রয় করেন নি। ৩৪ শতাংশ মানুষ এক থেকে দুটি পণ্য, ৮ শতাংশ মানুষ ৩ থেকে ৫ টি পণ্য, ৪ শতাংশ মানুষ ৫ থেকে ১০ টি পণ্য, ৩ শতাংশ মানুষ ১০ থেকে ১৫ টি পণ্য এবং এক শতাংশ মানুষ ১৫ থেকে ২০ টি পণ্য কিনেছেন। সীমান্তে উত্তেজনা তৈরী হবার পর বহু ভারতীয়র মধ্যে এই অনীহা প্রকাশ করলেও তবু বেড়েছে চীনের বাজার। কিন্তু কেন?
বলা হচ্ছে অতি মারি পরিস্থিতিতে বহু মানুষের আয়ে পড়েছে কোপ। এদিকে চিনে পণ্যের দাম দেশীয় বাজারে অন্যান্য পণ্য অপেক্ষা অনেকটাই সস্তা। যে কারণে বহু ক্রেতা চীনের পণ্য বর্জন করার মতো সাহস দেখাতে পারেননি। এছাড়া বিশ্বব্যাপী চাহিদা রয়েছে চীনের গ্যাজেটস থেকে। এই সকল চীনে গ্যাজেটসের সংস্থাগুলো একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড ভ্যালু রয়েছে। যাদের উপেক্ষা করা ভারতের অনেক ক্রেতার পক্ষেই সম্ভব হয়নি।
অতিমারি পরিস্থিতিতে করোনা চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম চিন থেকে কমদামে আমদানি করতে বাধ্য হয়েছে ভারত। থার্মোমিটার, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, অক্সিমিটারের মত এরকম বহু সরঞ্জামের জন্য ভারতকে ভরসা করতে হয়েছে চীনের উপরে। যার ফলে যখন একদিকে দেশীয় বাজারে লেগেছে অর্থনীতির ধাক্কা তখন চীনের বাজার চলেছে রমরমিয়ে। অর্থাৎ আত্মনির্ভর ভারত প্রকারান্তরে চিনের ব্যবসাই বাড়িয়ে তুলেছে।
ব্যুরো রিপোর্ট