Trending
বাংলাদেশের মেগা প্রোজেক্ট পদ্মা সেতু এবার নতুন ভূমিকায়।
বাংলাদেশের ট্যুরিজম ইকোনমিতে দুর্দান্ত ছাপ রাখল পদ্মা সেতু।
সুন্দরবনে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল দ্বিগুণ।
সবমিলিয়ে পদ্মা সেতু যেন বছর শেষে বাংলাদেশ ইকোনমির পিলার হয়ে উঠছে।
বিস্তারিত জানার জন্য স্কিপ না করে দেখুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন।
৯২ হাজার মেট্রিক টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছিল পদ্মা সেতু নির্মাণে। প্রায় ৬ কিমি দীর্ঘ পদ্মা সেতু যেন সবদিক থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার কাজটা করে চলেছে সেই শুরু থেকেই। নির্মাণের আগে সেভাবেই বানানো হয় ব্লু প্রিন্ট। পদ্মা সেতু নির্মাণের ভাবনা চিন্তা যখন হাসিনা সরকার করেছিল, তখন বিরোধীদের ঠেস সহ্য করতে হয়েছিল ভালোরকম। তবু বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের হাতিয়ার পদ্মা সেতু যে সবদিক থেকেই হয়ে উঠবে সেই কথা জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরাও। বাংলাদেশের অন্যতম সাকসেসফুল মেগা প্রোজেক্ট পদ্মা সেতু। সেতু নির্মাণের সময় প্রতিদিন ২৪ হাজার গাড়ি যাতায়াত করবে বলেও জানা যায়। রিকটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৯ পর্যন্ত সহ্য করতে পারবে পদ্মা সেতু। যার হাত ধরে হাসিনা সরকার বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আস্থা কুড়োতে পেরেছে ভালোরকম। এক হচ্ছে সড়কপথে যোগাযোগ মসৃণ হবার জন্য পণ্য যাতায়াতের সময় একধাক্কায় অনেকটা কমে এসেছে। আর অন্যদিকে এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ পদ্মা সেতুর গুরুত্বকে অনেকটাই বৃদ্ধি করেছে। এছাড়াও পদ্মা সেতুর প্রভাব পড়েছে দারিদ্র্য সংকোচনে। এই অঞ্চলে দারিদ্র্য ১ শতাংশ এবং ন্যাশনাল লেভেলে ০.৮ শতাংশ দারিদ্র্য কমানোর ক্ষমতা রেখেছে পদ্মা সেতু। এছাড়াও কৃষিখাত, নির্মাণ, উৎপাদন এবং পরিবহনে ব্যপক প্রভাব ফেলেছে পদ্মা সেতু। আর এসবের সঙ্গেই নতুন সংযোজন ট্যুরিজম। পদ্মা সেতুর কল্যাণে সুন্দরবনে ট্যুরিস্ট আসার ঢল দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশের সরকার বলছে, সুন্দরবনে দেশি পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ডবল। স্বাভাবিকভাবেই পর্যটনকে ঘিরে ক্রমশই চাঙ্গা হচ্ছে অর্থনীতির চাকা। কারণ সম্ভাবনা দেখে নতুন নতুন বিনিয়োগও আসছে। বাই দ্য ওয়ে, বিনিয়োগের কথা বলতে মনে পড়ল। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন তো নাকি? বিজনেস প্রাইম নিউজ নিয়ে আসছে নতুন সেগমেন্ট…
হ্যাঁ, যা বলছিলাম। ২০২২ সালের জুন মাসে সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় পদ্মা সেতু। গেল অর্থবর্ষে বাংলাদেশের সুন্দরবন ভিজিট করেছিলেন প্রায় ২ লক্ষ ১৭ হাজারের বেশি পর্যটক। যার মধ্যে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা কম নয়। জানা যাচ্ছে, ২ হাজার ২৭৪ জন বিদেশি পর্যটক ভিজিট করেছেন বাংলাদেশের সুন্দরবন। আপনাদের জানিয়ে রাখি, পদ্মা সেতু ট্যুরিজম ইকোনমিতে যে দুর্দান্ত ছাপ রাখবে সেটা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি সুন্দরবন এলাকায় পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, এই নিয়ে কম আশা চাগাড় দেয়নি তাদের মনে। তাই আগে থেকেই হিসেব কষে সুন্দরবনে আরও নতুন করে চারটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় হাসিনা সরকার। চারটি আলাদা আলাদা পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের কারণ আর কিছুই না। আগে যেখানে একটি জায়গাতেই পর্যটকরা ভিড় করতেন, আজ চারটি কেন্দ্র হওয়ায় পর্যটকরা আলাদা আলাদা জায়গা থেকে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারবেন। এতে করে পর্যটনখাতে গতি বৃদ্ধি পাবে বলেই ধারণা করা হয়েছিল। কারণ পর্যটকদের হাতে তখন একাধিক ট্যুরিস্ট স্পট থাকায় সুন্দরবনের ভয়ঙ্কর সুন্দর সেই দৃশ্য তারা উপভোগ করতে পারবেন বলে জানা গিয়েছিল। দিনের শেষে দেখা গেল, তাঁদের অঙ্ক কষাতে কোন ভুল নেই। কারণ পদ্মা সেতু এবং সুন্দরবনের চারটি আলাদা আলাদা পর্যটন কেন্দ্র নতুন করে সুন্দরবন ট্যুরিজমের পথ অনেকটাই চওড়া করে দিয়েছে। আর দিনের শেষে বাংলাদেশের ট্যুরিজম ইকোনমি হেলদি হয়ে উঠছে। সুতরাং হাসিনা সরকারের পদ্মা সেতু নিয়ে যে লক্ষ্য ছিল, সেগুলো একে একে পূরণ হচ্ছে। এবং বাংলাদেশবাসীর মনে হাসিনা সরকার নিয়ে বিশ্বস্ততা যেন আরও মজবুত হচ্ছে। ফলে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ইকোনমি নতুন করে দাঁড়ানোর ক্ষমতা পাচ্ছে আর সেই অক্সিজেন দিচ্ছে পদ্মা সেতু এবং তার দৌলতে বাংলাদেশে ঘুরতে আসা পর্যটকরা। আপনিও কি পদ্মা সেতু দিয়ে একবার বাংলাদেশের সুন্দরবন ঘুরে আসতে চান? জানান কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে শেয়ার করুন আমাদের প্রতিবেদন। আর নতুন হলে সাবস্ক্রাইব করে নিন আমাদের চ্যানেল বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ