Daily

বৃষ্টি কম। তাতে কি? আবহাওয়াকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রমরমিয়ে ধান চাষ করছেন পশ্চিম বর্ধমানের ধান চাষিরা। ফি বছরের তুলনায় এবছর বৃষ্টির পরিমাণ যথেষ্ট কম। কৃষি নির্ভর বাংলা জুড়ে তাই মাথায় হাত পড়েছে বাংলার ধান চাষিদের। সারাবছর ধরে পিপাসু চাতকের মত বৃষ্টির জন্যই অপেক্ষা করেন তারা। এদিকে সময় এলেও, বৃষ্টির দেখা নেই। চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট হওয়াই স্বাভাবিক। তবে, এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ছবি ধরা পড়ল পশ্চিম বর্ধমান জেলায়।
রিপোর্ট বলছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৬৯৪.৪ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ২০২১-২২-এ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯০৪ মিলিলিটারে। অথচ, ২০২২ এর জুলাইতে সেই বৃষ্টির পরিমাণ মাত্র ১৭৩.৪ মিলিলিটার। আর এমন পরিস্থিতি ধান চাষ এবং ধান চাষি, কার জন্যই লাভদায়ক নয়। তাই হাত গুটিয়ে বসে না থেকে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ শুরু করেছেন পশ্চিম বর্ধমানের ধান চাষিরা।
নতুন পদ্ধতিতে চাষ কতটা সুবিধাজনক হবে ধান চাষিদের জন্য? কেনই বা কৃষি দপ্তর এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করার সাজেশন দিচ্ছে?
অত্যাধুনিক এই পদ্ধতিতে ধান চাষের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অ্যাডভানন্টেজ থাকলেও, ধানের চারা রোপণ করার মেশিনের দাম খানিকটা বেশি। তবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্পেশ্যাল স্কিমের আওতায় মেশিনের দাম খানিকটা কম হবে, বলেও জানালেন কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা। আর এইভাবে চাষ করলে যথেষ্ট সাশ্রয় হবে চাষিদের। তাছাড়াও আগামীদিনে নতুন প্রজন্মকে চাষবাসের ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েন্স করবে এই পদ্ধতি।
জেলায় জেলায় ধান চাষে যখন দাগ কেটেছে অনাবৃষ্টি, তখন সম্পূর্ণ অন্যরকম পদ্ধতিতে ধান চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন পশ্চিম বর্ধমানের ধান চাষিরা। গোটা বাংলার সামনে আজ স্বল্প ব্যয়ে ধান চাষের উদাহরণ তৈরি করেছেন তারা।
কাঞ্চন দাস
পশ্চিম বর্ধমান