Daily
কৃষি অর্থনীতিতে বিপ্লব আনতে চলছে একের পর এক এক্সপেরিমেন্ট। এক্সপেরিমেন্ট করে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সফলও হয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্যাডি কাম ফিশ ফারমিং। কৃষি নির্ভর বাংলায় যে প্রক্রিয়া মোটামুটি ভালো রকম রেসপন্স পেয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিন-বাংলার জেলায় জেলায় চাষিরা আগ্রহী হয়েছেন এই পদ্ধতিতে চাষ করতে। একে অভিনব, তায় আবার সময়ও লাগে কম। আর প্রথাগত পদ্ধতির তুলনায় লাভের অঙ্কটা অনেক বেশি। কাজেই এমন চাষে আগ্রহ না হওয়ার কোন কারণই নেই।
এবার প্যাডি কাম ফিশ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিলেন আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের তেলিপাড়া মৌজার রিপন আচার্য। অন্যান্য জেলায় এই পদ্ধতি প্রচারের আলো দেখলেও, উত্তরবঙ্গে এই ধরণের চাষ এই প্রথম। অভিনব এই পদ্ধতিতে মাছ এবং ধান চাষ করে, এবং সর্বোপরি ভালো ফলন পেয়ে রিপন এখন এলাকার হিরো। বিগত এক বছর ধরে নিজে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন এবং এখন এলাকার কৃষকদেরও এই চাষ করার জন্য এগিয়ে আসতে বলছেন তিনি।
এইধরনের চাষে মূলত ক্যাট ফিশ প্রজাতির মাছ অর্থাৎ শিঙি, মাগুর, কই চাষ করছেন তিনি। এর আগে ছোট জায়গাতে চাষ করে সফল হয়েছেন রিপন বাবু। তাই এখন বানিজ্যিকভাবে এই চাষ শুরু করেছেন তিনি। মাত্র ৩-৪ মাসের মধ্যেই ভালরকম ফলন পেয়েছেন। কীভাবে চাষ করলেন? পদ্ধতিটা কি? শুনুন রিপন বাবুর মুখ থেকেই।
তবে জানিয়ে রাখা ভালো, এই ধরণের চাষের ক্ষেত্রে ইনভেস্টমেন্টের অঙ্কটা সামান্য বেশি। তবে সেটা কিন্তু অবশ্যই একবারই খরচ হবে। আর ফলন পেতে শুরু করে মুনাফার অঙ্কটা দাঁড়াবে এর কয়েক ডবল। মাত্র এক বিঘা জমি থাকলেই আপনি অনায়াসেই শুরু করতে পারেন, প্যাডি কাম ফিশ ফারমিং।
কোন চাষি যদি এইরকম অভিনব চাষে আগ্রহী হন, তাহলে নির্দ্বিধায় পরামর্শ নিতে পারেন রিপন বাবুর সাথে। এছাড়াও স্থানীয় এফপিসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সুরাহা হতে পারে।
অভিনব প্যাডি কাম ফিশ ফারমিং করে ডবল মুনাফা পেয়ে রিপন বাবু আজ এলাকার অর্থনীতির ছবি তো বদলেছেনই। পাশাপাশি অন্যান্য কৃষকদের কাছে নজিরও তৈরি করেছেন।
অভিজিৎ চক্রবর্তী
আলিপুরদুয়ার