Trending
হ্যালো স্টুডেন্টস। অক্সফোর্ড, ইয়েল বা স্ট্যানফোর্ডে পড়তে কে না-চায় বলুন তো? বিশ্বের প্রথম সারির এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়ার স্বপ্ন দেখেন সারা বিশ্বের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা। আমাদের দেশেও তো মেধাবী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কম নয়। কিন্তু বিদেশে গিয়ে থেকে এই ইউনিভার্সিটিগুলোতে পড়াশোনার খরচের বহরও থাকে ভালোরকম। ফলে বহু ভারতীয় পড়ুয়াদের স্বপ্ন টাকার অভাবে অধরা হয়ে যায়। কিন্তু এবার হয়ত স্বপ্ন পূরণের পালা। কারণ ভারতের বুকেই খুলতে পারে অক্সফোর্ড, ইয়েল বা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। অবাক লাগলেও সত্যি। আসুন আজকের প্রতিবেদনে সেটাই আলোচনা সেরে নেওয়া যাক।
প্রতি বছর বহু ভারতীয় পড়ুয়া উচ্চ শিক্ষার জন্য ছোটেন বিদেশে। বিদেশের ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে অক্সফোর্ড, ইয়েল বা স্ট্যানফোর্ডের মত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়া পড়ুয়াদের জন্য স্বপ্ন সত্যিই হবার মতন। তাই কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য দুর্দান্ত একটি পদক্ষেপ নিতে চলেছে। আর সেটা যদি সত্যিই হয়, তাহলে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস খুলবে ভারতের বুকেই। একইভাবে ইয়েল এবং স্ট্যানফোর্ড। বিদেশি ইউনিভার্সিটিগুলোকে দেশের মাটিতে ক্যাম্পাস খুলে দেবার সুযোগ করে দিচ্ছে কেন্দ্র। আর নতুন ক্যাম্পাসগুলো খোলা নিয়ে যাবতীয় নীতি নির্ধারণ করার বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের খসড়াও তৈরি করেছে ইউজিসি বা ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন। খসড়া অনুযায়ী লোকাল ক্যাম্পাসগুলিতে পড়াশোনা করার জন্য ফি কত নেওয়া হবে বা স্কলারশিপের টাকা কত হবে- এই সবই নির্ধারণ করবে লোকাল ক্যাম্পাসগুলো। একইসঙ্গে এই ক্যাম্পাসগুলোকে অধ্যাপক বা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি। এখানেই বলে রাখি, ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার যে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে এলো, তার ওপর নির্ভর করেই তৈরি করা হয়েছে এই খসড়া।
খসড়ায় বলা হয়েছে, বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যদি ভারতে তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাস খুলতে চায় সেক্ষেত্রে সবধরণের সাহায্য করা হবে। বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ থাকা প্রথম ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেই ভারতে ক্যাম্পাস খোলার অনুমোদন দেওয়া হবে। ইউজিসির অনুমোদন না-থাকলে সংশ্লিষ্ট ইউনিভার্সিটি কখনোই ভারতের বুকে এই ক্যাম্পাস খুলতে পারবে না। বিদেশি ইউনিভার্সিটি যদি ভারতে ক্যাম্পাস খুলতে আগ্রহ দেখায়, সেক্ষেত্রে আবেদন খতিয়ে দেখার জন্য থাকবে একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি। একেই নিয়ন্ত্রণ করবে উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কমিটি খতিয়ে দেখবে যে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কী ধরণের কোর্স পড়ানো হবে, সেটা ভারতীয় পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের জন্য কতটা মসৃণ হবে। সবদিক বিচার করার পরেই সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে ভারতে ক্যাম্পাস খোলার অনুমোদন দেবে এই স্ট্যান্ডিং কমিটি। তবে অনুমোদন পাওয়ার পর দু’বছরের মধ্যে সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে ক্যাম্পাস খুলতে হবে। এমনকি অধ্যাপকদের বেতন, চাকরির যাবতীয় শর্ত সবই করতে পারবে সংশ্লিষ্ট ইউনিভার্সিটি। কিন্তু সেটা করতে হবে দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। একইসঙ্গে খসড়ায় বলা হয়েছে, স্ট্যান্ডিং কমিটির নজর থাকবে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ওপর। জাতীয় স্বার্থ যাতে অক্ষুন্ন থাকে, দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব যাতে রক্ষা পায়- এই সবদিকেই নজর রাখবে ঐ স্ট্যান্ডিং কমিটি। শর্তভঙ্গ হলে প্রয়োজনে কঠিন শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে।
উল্লেখ্য, ভারতে মেধাবী পড়ুয়ার সংখ্যা কম নয়। প্রত্যেক বছর উচ্চশিক্ষার জন্য বহু ছাত্রছাত্রী বিদেশের নামী ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যান। আবার অনেকেই খরচের কথা ভেবে স্বপ্ন পূরণ করতেও ব্যর্থ হন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যদি সত্যিই অক্সফোর্ড, ইয়েল বা স্ট্যানফোর্ডের মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাস দেশে খুলে দিতে পারে তবে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা একধাক্কায় অনেকটাই গোটা বিশ্বের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। আর শুধু ভারতের পড়ুয়া বলেই নয়। ইউজিসির স্ট্যান্ডিং কমিটির যাবতীয় শর্ত মেনে যদি প্রথম সারির এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের ক্যাম্পাস ভারতে খুলতে আগ্রহ দেখায় তাহলে বিদেশি ছাত্রছাত্রীরাও ভারতে এসে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। দেশের শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, কেন্দ্রীয় সরকার যদি এই সাফল্য অর্জন করতে পারে, তাহলে ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থা নতুন এক দিশা খুঁজে পাবে। একইসঙ্গে গ্লোবাল এডুকেশন সেক্টরে ভারত এগিয়ে থাকবে অনেকটাই এবং দেশি, বিদেশি পড়ুয়াদের সামনে তৈরি হবে বিদেশি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করার সুযোগ। দেশের বুকে বিদেশি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে আপনার কি মতামত?
বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ