Daily
রাজ্যের অন্যতম কৃষিপ্রধান জেলা হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। এই জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে চাষ হয় বিভিন্ন শাক সব্জির। তবে শুধু চাষ করলেই তো হল না। জৈব পদ্ধতিতে কিভাবে চাষ করা যায়। একইসঙ্গে কিভাবে জৈব পদ্ধতিতে কীটনাশক ব্যবহার করা যায়, সেদিকেও খেয়াল রেখেছে কৃষি দফতর। আর যে কারণেই জৈব চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে এক অভিনব উদ্যোগ নিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষি দফতর বা বালুরঘাট কৃষি দফতর।
বালুরঘাট ব্লকের ফুলঘড়া গ্রামে তেত্রিশ একর জমি নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই জৈব গ্রাম। মূলত জৈব পদ্ধতিতে সুগন্ধি চাল সহ ঝিঙে, বেগুনের মতন বিভিন্ন শাক সব্জির চাষ কিভাবে জৈব পদ্ধতিতে করা সম্ভব সেই নিয়েই চলছে প্রায় চার সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ। একইসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে জৈব কীটনাশক তৈরির প্রশিক্ষণ। যাতে সবদিকেই ভালোরকম ভারসাম্য বজায় থাকে।
পেঁপে পাতা, নিম পাতা, বন কাঁঠাল, গো-মূত্রের মতন বেশ কিছু উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই জৈব কীটনাশক। স্বাভাবিকভাবেই, কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বেশ খুশি এলাকার কৃষকরা। তাঁরাও হাতের কাছে সব ধরণের উপকরণ নিয়ে এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যাতে কৃষকরাও আর্থিকভাবে অনেকটা উন্নত হন।
এমনিতেই প্রায় তিরিশ একর জমি নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই জৈব গ্রাম। প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন চল্লিশ জন কৃষক। হাতে কলমে যেভাবে তাঁরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাতে স্বাভাবিকভাবেই জৈব কীটনাশক কৃষকদের আর্থিক বৃদ্ধিকে অনেকটাই সাহায্য করবে। একইসঙ্গে ফলনও ভালোই হবে বলে মনে করছে কৃষি দফতর। যা জেলার কৃষি অর্থনীতিকে অনেকটাই উন্নত করবে। একইসঙ্গে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে বালুরঘাট ব্লক কৃষি দফতরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কৃষকরাও।