Trending
অবশেষে খরা কাটল পিভিআর আইনক্সের। নেপথ্যে হলিউডি সিনেমা। এক ওপেনহাইমার আর দুই বার্বি। তারপরেই কিছুটা গা ঝেড়ে উঠে দাঁড়াল পিভিআর। যে গতিতে এই দুটি সিনেমা এগোচ্ছে, তারপর আশা করাই যায় নতুন সপ্তাহে ওপেনহাইমার এবং বার্বি আরও কিছুটা গতি দেবে। ফেলে আসা হপ্তায় কিভাবে এই দুটো সিনেমা পিভিআর আইনক্সের ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করল, সেই নিয়েই ছোট্ট একটা প্রতিবেদন।
বার্বি রিলিজ করার আগে থেকেই পরিচালক গ্রেটা গারউইগ সিনেমার কালেকশন নিয়ে আশাবাদী ছিলেন। দর্শক যে হলমুখো হবেন সেই নিয়েও তিনি ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। তবে ভারতে গ্রেটা গারউইগের আগের কোন সিনেমাই তেমন একটা প্রত্যাশা তৈরি করতে পারেনি। এই বার্বির সঙ্গেই এবার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় নেমেছে ওপেনহাইমার। ভারতে নোলান ভক্তের সংখ্যা কম নয়। ডার্ক নাইট, ডার্ক নাইট রাইজেস, ইনসেপশন, ইন্টারস্টেলার, ডানকারক, টেনেট এবং ওপেনহাইমার। সিনেনেশার মানুষরা নোলানের অন্যান্য সিনেমা নিয়ে কাটাছেঁড়া চিরকালই করেন। তবে হল দাপিয়ে বেড়ানোতে আর কিসের কাটাছেঁড়া? নোলানের যে-কোন সিনেমার বক্স অফিস কালেকশন দেখলে আমরাই বরং একটু লজ্জা পাই। শুধু প্রযুক্তি নয়। ইমোশন এবং ফিলোজফির মিশেল এই পরিচালক এতটাই দক্ষতার সঙ্গে করেন যে প্রত্যেকটি সিনেমায় সেই ভারসাম্য বজায় রাখে। এবং লাখে লাখে দর্শক টেনে আনে। এবারেও ওপেনহাইমারে সেই একই ছবি। তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে ভারতের বক্স অফিসে।
গেল সপ্তাহে বক্স অফিসের যা রেজাল্ট, সেটা দেখে খুশির হাসি পিভিআর আইনক্সের। ফিনানশিয়াল এক্সপ্রেসের রিপোর্ট বলছে, পিভিআর আইনক্সের কালেকশন ৭০ কোটি টাকা। আর এই কালেকশন এনে দিয়েছে ওপেনহাইমার এবং বার্বি। তবে ওপেনহাইমার নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা অনেকটাই বেশি। শুধু ওপেনহাইমার থেকে আয় এসেছে ৫০ কোটি টাকা। আর বার্বি থেকে আয় এসেছে ২০ কোটি টাকা। একটা তথ্য বলছে চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদে ইংলিশ সিনেমা দেখার ঝোঁক থাকে সবচেয়ে বেশি। ঐ সকল জায়গায় ওপেনহাইমার ৬০% আসন দখল করে রেখেছিল। একইসঙ্গে বার্বি দখল করেছিল ৪৫% আসন। তবে পিভিআর আশাবাদী, আসছে সপ্তাহের মধ্যে বার্বি এবং ওপেনহাইমার যৌথভাবে বক্স অফিসের কালেকশনকে পৌঁছে দেবে ২০০ কোটি টাকায়। আর এখানেই আবার উঠে আসছে বলিউড বিজনেসের কথা। যেখানে শুধু মিলছে হতাশা আর হতাশা।
দেখুন আমরা সকলেই জানি যে, বলিউডের বিজনেস আর আকাশে উল্কাপাত ইদানিং প্রায় একইরকম। পিভিআর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কেরালা স্টোরি ছাড়া কোন বলিউড সিনেমা সেভাবে হল কালেকশনে দুর্দান্ত ছাপ রাখতে পারেনি। পাঠান কিছুটা চেষ্টা করেছে বলা যায়। অন্যদিকে মিশন ইমপসিবল ৭ এবং ফাস্ট এক্স বরং পিভিআরের খরা কাটিয়েছিল। এছাড়া এই সময়ে দাঁড়িয়ে পিভিআর-কে লাভের মুখ দেখাতে পেরেছে দুটো নন-হিন্দি মুভিজ। একটি পাঞ্জাবি সিনেমা ‘ক্যারি অন জাট্টা ৩’ এবং মারাঠি সিনেমা ‘বাইপান ভারি দেবা’। ক্যারি অন জাট্টা সিনেমাটি প্রথম পাঞ্জাবি সিনেমা যা ১০০ কোটি ক্রস করেছে। আর অন্যদিকে বক্স অফিস কালেকশন ভালো দেখিয়েছে এই মারাঠি সিনেমা। তাদের বক্তব্য, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সিনেমা আর কোন ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যারিয়ার হতে পারে না। পাঞ্জাবি, মারাঠি বা ইংলিশ যেটাই হোক দিনের শেষে এই সিনেমা বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে। তাহলে একটাই প্রশ্ন। বলিউডের ভাগ্যদেবতা কি এখনো প্রসন্ন হননি? খামতি কোথায়? গল্প নির্মাণে নাকি গল্প বাছাই-এ? অভিনয়ে খামতি? পরিচালনায় ধাপ্পাবাজি? শুধু নোলানের সিনেমা ওপেনহাইমার দিয়ে বিচারের প্রশ্নটা নয়। কারণ নোলানের ভক্ত ভারতে রয়েছেই। কিন্তু বার্বি কিভাবে দর্শকদের হলে টেনে আনছে? খামতি কোথায় থাকছে বলিউড সিনেমার? আপনারাই মতামত জানান। লিখুন কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে লাইক করুন, শেয়ার করুন। আর সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ