Trending
গ্রামের নাম খুন্তি। রাজ্যের নাম ঝাড়খণ্ড। পাহাড় আর জঙ্গল ঘেরা এই গ্রাম বরাবরই মাথাব্যথার কারণ ছিল প্রশাসনের কাছে। পুলিশের গাড়ির আনাগোনা আর ধরপাকড় ছিল এখানকার নিত্য ছবি। গ্রামের বেশিরভাগ কৃষক ছিল আফিম চাষের সঙ্গে জড়িত। খুন্তি গ্রাম ছিল প্রশাসনের কাছে অন্যতম মাথাব্যথা।
কী করে গ্রামের চাষিদের অর্থকরী ফসল চাষে রাজি করানো যায় সেটাই ছিল সরকারের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। অনেক ভাবনাচিন্তার পর ঝাড়খন্ড সরকার চাষিদের বুঝিয়ে এই গ্রামে চালু করেন প্রথম লেমনগ্রাস চাষ। সরকারি উদ্যোগে বিপণনের ব্যবস্থাও ছিল বেশ চোখে পড়ার মত। আর এতেই বাজিমাত করল ঝাড়খন্ড সরকার। এতে একদিকে চাষিরা যেমন পেল ভালো আয়ের পথ অন্যদিকে গ্রামে বন্ধ হলো আফিম চাষ।
আজ খুন্তির প্রায় ৭০০ একর জমিতে চাষ হচ্ছে লেমনগ্রাসের। সমতল থেকে পাহাড়ের পাথুরে রুখাশুখা জমি সব জায়গাতেই সামান্য পরিচর্যায় গজিয়ে ওঠে এই অর্থকারী ঘাসের জঙ্গল। যা এখানকার অধিবাসীদের কাছে নিম্বুঘাস নামেও বেশ পরিচিত। দীর্ঘদিন আফিম চাষের সঙ্গে জড়িত চাষি তাই আজ সরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছেন লেমন চাষি। শুনুন উনার মুখে এই পরিবর্তনের কথা।
একবার জমিতে লেমন ঘাস চাষ করলে সেই জমি থেকে কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ বছর অনায়াসেই বছরে ভালো টাকা লাভ করা যায়। এর জন্য সেইরকম বড় ধরনের কোনো কিছু খরচ করতে হয় না।
নিম্বুঘাস বা লেমনগ্রাস বদলে দিয়েছে খুন্তি গ্রামের অর্থনৈতিক চালচিত্রটাকে। আজ পুরুষদের পাশাপাশি গ্রামের মহিলারা উদ্যোগী হয়েছেন এই চাষের হাল ধরতে। এখন আর এই গ্রামে পুলিশও আসে না আর আফিম চাষ হয় না। লেমনগ্রাসের থেকে পাওয়া তেলও বেশ চড়া দামে বিক্রি হয়। খুন্তি গ্রাম থেকে শুরু হওয়া এই লেমনগ্রাসের সরকারি উদ্যোগ আজ ঝাড়খন্ড রাজ্যের সামগ্রিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এভাবেই খুন্তির মত আফিম গ্রাম ধীরে ধীরে বদলে গেলে লেমনগ্রামে।
ব্যুরো রিপোর্ট
বিজনেস প্রাইম নিউজ