Daily

কারও পৌষ মাস, তো কারও সর্বনাশ। আরবিআই -এর টোকেনাইজেশন পদ্ধতিতে ফ্যাসাদে পড়তে পারেন অনলাইন ব্যবসায়ীরা। টোকেনাইজেশন পদ্ধতিতে সাধারণ মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত হলেও ভাটা পড়তে পারে অনলাইন ব্যবসায়ীদের আয়ে। তাদের আয় কমতে পারে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলো দ্য কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি।
ভারতের শীর্ষ ব্যাংকের এই নতুন টোকেনাইজেশন সিস্টেমে ব্যবসায়ীরা গ্রাহকের কার্ডের তথ্য এখন থেকে আর সংরক্ষণ করতে পারবেন না। তাঁর বদলে দেওয়া হবে একটি টোকেন নম্বর। নতুন এই পদ্ধতির সবচেয়ে সুবিধাজনক দিকটি হলো,গ্রাহককে এবার থেকে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের ১৬ অঙ্কের সংখ্যাটা আর মনে রাখতে হবে না। কেনাকাটার সময়ে কার্ডের নম্বর থেকে সিভিভি বা কার্ড সংক্রান্ত অন্য কোনো তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তার বদলে লাগবে শুধু একটি টোকেন নম্বর। কাজেই যেহেতু কোনও মার্চেন্ট সাইটে কার্ডের নথি আর সংরক্ষণের প্রয়োজন হচ্ছে না। তাই তথ্য চুরি বা কোনও জালিয়াতির আশঙ্কাও কম বলে মনে করা হচ্ছে। এবার থেকে শীর্ষ ব্যাংকের নির্দেশিত কার্ডের এই টোকেনাইজেশনের প্রযুক্তি অবলম্বন করলে বেশ খানিকটা স্বস্তিতে থাকবে গ্রাহক।
তবে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকার কারণে, এখনই এই পদ্ধতি চালু করতে নারাজ স্টক হোল্ডাররা। তবে শুধু স্টক হোল্ডারই কেনো বলছি, ছোট ও মাঝারি সাইজের ব্যবসায়ীরাও এমনকি ব্যাংকগুলোও এই টোকেনাইজেশন সিস্টেমের সঙ্গে এখুনি পথ চলতে পুরোপুরি তৈরি নয়। প্রসঙ্গত,অনলাইন লেনদেনের নিয়মে যে ডেডলাইন ছিল অর্থাৎ ডিসেম্বর ৩১ পর্যন্ত যে সময়টা ছিল তা এখন বাড়িয়ে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে শীর্ষ ব্যাংকের তরফে।
ব্যুরো রিপোর্ট