Daily
ভোল বদলাচ্ছে আবহাওয়া ঘড়ি। আর এই আবহাওয়া পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে ভৌগলিক পরিবেশ থেকে অর্থনৈতিক পরিবেশে। কৃষি অর্থনীতিতেও যার প্রভাব পড়েছে ঘোরতরভাবে। প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্যে রীতিমত মাথায় হাত পেঁয়াজ চাষিদের।
কৃষিকাজের সময় বলছে, এখন পিঁয়াজের বীজ উঠবার মরশুম। মাঠের পর মাঠ জুড়ে পিঁয়াজ গাছে ফুল আসার কথা। কিন্তু সে সব তো দূর অস্ত। গাছে যে পরিমাণ ফুল বা দানা আসার কথা, তার সিকি ভাগও আসেনি চাকদা ব্লকের চাঁদরিয়া ২ নং পঞ্চায়েতের রানিনগর, খরডাঙ্গা, সান্যাল চর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার জমিতে। গত বছরের তুলনায় ফলন অত্যন্ত কম। যেসমস্ত চাষিরা লোন নিয়ে চাষ করেন, এখন তারা কীভাবে লোন পরিশোধ করবেন সে নিয়ে বেজায় চিন্তিত তারা।
গত বছর পিঁয়াজের দাম বেশি ছিল ঠিকই, পর্যাপ্ত ফলন পেয়েছেন চাষি ভাইরা। কিন্তু এবারের অবস্থা আরও শোচনীয়। বিঘে প্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তাদের। গত বছর যেখানে কাঠা প্রতি ৭ কেজি পিঁয়াজ পেয়েছিলেন উৎপাদকেরা। এবছরে সেখানে ১ কেজি পিঁয়াজের ফলন পেতে রীতিমত বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। এদিকে চাকদা ব্লকের এই এলাকা পিঁয়াজ চাষের জন্যই বিখ্যাত। হুগলী, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা সহ একাধিক এলাকায় পিঁয়াজ যায় এখান থেকেই। আর এখানেই পিঁয়াজ উৎপাদন এইভাবে ধাক্কা খেলে ঠিক কি পরিমাণ হাহাকার তৈরি হবে, তা বোধ হয় কিছুটা আন্দাজ করা যাচ্ছে।
পিঁয়াজ চাষে এতটা ক্ষতি হলে দূর দুরান্ত থেকে আসা লেবাররাও যে চরম সংকটে পড়বেন তা বলাই যায়।
আবহাওয়া পরিবর্তনের জেরে যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে এখানকার পিঁয়াজ চাষ, তাতে চরম লোকসানের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন এখানকার পিঁয়াজ উৎপাদকেরা। এখন এই লোকসানের ভার ঘাড় থেকে নামিয়ে কবে ঘুরে দাঁড়ায় এখানকার ব্যবসা, সেটাই দেখার।
সুব্রত সরকার
নদীয়া