Daily

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের রাজ্যেও বৃদ্ধি পাচ্ছে পিঁয়াজের চাষ। বিশেষ করে শীতের মরশুমে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই পিঁয়াজের চাষ করা হয়। যা একজন কৃষকের উপার্জনের পথটাকে অনেকটাই নিশ্চিত করে। এমনকি বর্ষার সময়েও পিঁয়াজের চাষ করা হয় জেলার কৃষকরা। তার মধ্যে অন্যতম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ১ এবং ২ নম্বর ব্লক। মহিষাদল, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, ভগবানপুরের ১ এবং ২ নম্বর ব্লক। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় পিঁয়াজ চাষের অন্যতম কারণ, ফলনের শেষে চাষিবন্ধুদের হাসি চওড়া করে এই পিঁয়াজ। কিন্তু এইবারে চাষের ফলনে দেখা যাচ্ছে সমস্যা।
জানুয়ারির শুরু থেকেই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পেঁয়াজ চাষিরা। পটাশপুর সহ মহিষাদল ব্লক এলাকায় দেখা যাচ্ছে এক ধরণের রোগ। গাছের পাতাগুলোয় ধরছে লালচে রঙ। যা খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ছে গাছের বেশিরভাগ অংশে। চাষিরা বলছেন এই রোগ আসলে ধ্বসা। ক্ষেতের পর ক্ষেত জুড়ে এই রোগের প্রকোপে আজ ব্যপক ক্ষতির মুখে পিঁয়াজ চাষিরা।
তবে শীতের মরশুমে পিঁয়াজে এই ধরণের ধ্বসা রোগ দেখা যায়। এর সুরাহাও রয়েছে। কিন্তু তার জন্য কৃষি আধিকারিকদের পরামর্শ মেনে চলা জরুরি। তাই চাষিদের উদ্দ্যেশ্য করে বার্তা দিচ্ছেন মহিষাদল ব্লকের কৃষি আধিকারিক পার্থপ্রতিম দাস।
পিঁয়াজ চাষে এই রোগ দেখা দেওয়ার কারণে আজ বেশ চিন্তিত জেলার কৃষকরা। এই রোগের কারণে ব্যাহত হয়েছে উৎপাদন। ফলে পিঁয়াজচাষিদের মাথায় এখন পড়েছে হাত। তবে আশা করা যায়, কৃষি আধিকারিকদের পরামর্শ ঠিকঠাকভাবে মেনে চললে আখেরে লাভবান হবে চাষিবন্ধুরাই। ক্ষতির অঙ্ক অনেকটাই লাঘব হবে। আবারো হাসি ফিরবে পিঁয়াজ চাষিদের।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর