Trending
সন্ধান মিলেছিল আগেই। অপেক্ষা ছিল জাস্ট একটা গ্রিন সিগন্যাল আর ভরসাযোগ্য কোন সংস্থার হাত। অবশেষে সেটা মিলতেই বিশ্বগুরু হওয়ার পথে আরও একধাপ এগোতে চলেছে ভারত। এই বছরের শেষের দিকেই শুরু হচ্ছে আন্দামান নিকোবর দীপপুঞ্জ থেকে তেল উত্তোলনের প্রক্রিয়া। কারা সেই বরাত পেল? কবে নাগাদ এই প্রোজেক্ট শুরু হতে পারে? আর এর ফলে কতটা লাভবান হবে ভারত? জানব বিস্তারিত।
বঙ্গোপসাগরের আন্দমান-নিকোবর। অজানা রহস্যের রত্নভাণ্ডার। সেখানকার যতটুকু অঞ্চল সম্বন্ধে মানুষ জেনেছে। তার চেয়েও বেশি অঞ্চল রয়েছে- যা সবসময়ই অগোচরে। তবে এবার সেই অচেনা অজানা দ্বীপপুঞ্জই ভারতের ট্রাম্পকার্ড হতে চলেছে বলতে পারেন। কীভাবে? দেখুন বিজনেস প্রাইম নিউজ কিন্তু আগেভাগেই আপনাদের জানিয়েছিল আন্দামান নিকোবরে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ব্যারেল ব্যারেল তেল। যে তেল উত্তোলন করা হলে ভারত অন্তত আগামী ৭০ বছরের জন্য নিশ্চিন্ত হতে পারবে। আর ঠিক এখানেই শিকে ছিঁড়ল ভারতের ভাগ্যে।
সমস্ত প্রিপারেশন প্রস্তুত ছিল। প্রস্তুত ছিল ভারতের তেল সংস্থা অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডও। প্রয়োজন ছিল এমন একটি সংস্থার যাদের সাহায্যে সমুদ্রের বুকে সাবমারসিবল বসানো সম্ভব হবে। মানে অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড-এর ব্যাকবোন হিসেবে কাজ করবে। নরওয়ের একটি কোম্পানির সঙ্গে সেই ডিলও এবার কমপ্লিট। কাজেই এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষেই সেই খনিজ তেলের অফুরান ভাণ্ডারকে কেন্দ্র করে ঘুরে দাঁড়াতে পারে ভারতের অর্থনীতি।
আর সেটা যদি হয়। তাহলে রাশিয়া বা সৌদি আরবের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না ভারতকে। কমবে অপরিশোধিত তেলের আমদানি। যার ডিরেক্ট প্রভাব পড়বে ভারতের কোষাগারে। অন্যদিকে এই বিপুল পরিমাণ খনিজ তেল রপ্তানি করে নিজের ভাগ্য ফেরাতে পারবে ভারত। তবে অবশ্যই সঠিক সিস্টেম মেনে। আর সেটা যদি একবার কার্যকর হয়। তাহলে কমতে পারে পেট্রোল ডিজেলের দামও।
বেসিক্যালি ১২০ বিলিয়ন ব্যারেল পরিমাণ খনিজ তেলের খোঁজ মিলেছিল দ্বীপপুঞ্জে। প্রসঙ্গত ভারতে প্রতি দিনের হিসেবে তেল খরচের পরিমাণ ৪ মিলিয়ন। এবার আপনি নিজেই ক্যাল্কুলেশন করে দেখে নিতে পারেন, ভারতের কাছে যে অফুরান তেলের ভাণ্ডার রয়েছে তার জন্য ঠিক কতটা নিশ্চিন্ত ভারত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সার্ভে যখন ২০২৩ সালেই কমপ্লিট হয়ে গিয়েছিল… তখন এই প্রসেস শেষ করতে এত সময় লাগলো কেন?
কারণ একটাই। ওই যে একটু আগেই বললাম। বঙ্গোপসাগরের উপসাগরীয় এই দ্বীপপুঞ্জ আসলে অজানা অচেনাই থেকে গিয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে এবং স্পেস ইউটিলাইজেশনের জন্য বা ধরুণ ডিআরডিও এবং ডিফেন্সের কড়াকড়ি থাকার জন্য এই দ্বীপপুঞ্জের বেশিরভাগ অঞ্চল ছিল নো-গো জোনের মধ্যে। তবে সেই নিয়ম সংশোধিত করেছে সরকার। এখন ডিআরডিও, ডিফেন্স এবং মহাকাশ বিজ্ঞানের জন্য ব্যবহৃত বেশিরভাগ জমি কিন্তু সরকারী দখলে। আর সেখান থেকে রেস্ট্রিকশন সামান্য কিছুটা লঘু হয়েছে।
রেস্ট্রিকশন সরতেই শুরু হয় সার্ভে। সার্ভে শেষে মেলে অফুরান সেই তেলের খনি। আর খনি থেকে এবার শুরু হবে তেল উত্তলনের প্রক্রিয়া। ওএনজিসি- তারাও কিন্তু একেবারে কোমর বেঁধে প্রস্তুত। আগামী মে মাসেই তারা সেখানে ৪ টি কুয়ো খনন করতে চলেছে। যেখানে সঞ্চিত থাকবে উপসাগরের বুক চিঁরে উত্তোলিত খনিজ তেল। আর সবটা ঠিক মতো এগোলে আর মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই ভাগ্য বদলে যেতে চলেছে ভারতের।
সঙ্গে থাকুন, দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।