Daily
বি পি এন ডেস্ক : ফোন তো অনেকই আসে মোবাইলে। কোনটা দরকারি আবার কোনটা অদরকারি। কিন্তু কখনও কি চেনা ঢঙে চেনাজানার মত রিসিভ করেছেন আগন্তুকের ফোন? পেয়েছেন কি সোনার মোহরের টোপ?
হ্যাঁ। এই ব্যক্তি কলকাতায় বসেই নিজের মোবাইলে পেলেন এমনই ফোন।
সম্প্রতি কলকাতার এক নামী কর্পোরেট সংস্থার বড় কর্তা এমন আজব ফোন কল পেয়ে দ্বারস্থ হলেন বিজনেস প্রাইম নিউজের কাছে।
কিভাবে, কোথা থেকে এই মোহর সংগ্রহ করতে হবে তার অডিও রয়েছে আমাদের কাছে। অভিযোগ পেয়ে গ্রাউন্ড জিরো বীরভূম জেলায় তদন্তে নামে বিজনেস প্রাইম নিউজ।
তদন্তে উঠে আসল আসল চিত্র।
এক ফোনেই সর্বনাশ
বিজনেস প্রাইম নিউজে প্রতারণার পর্দা ফাঁস
অকুস্থল বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া। এখানকার রেল স্টেশন কিংবা বাস স্ট্যান্ডে নেমে অটো, টোটোয় মিনিট পনেরোর মধ্যেই পৌঁছে যাবেন বাতাসপুর গ্রামে। ওদিকে আপনার পথ চেয়ে বসে থাকা প্রতারকরা মাঝেমধ্যেই খোঁজ নেবেন আপনি কোথায় আছেন। জানতে চাইবে কখন আসছেন। পৌঁছন মাত্রই ওরা কৌশলে আপনাকে নিয়ে যাবে নিরিবিলি জায়গায়।
এর আগেও প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে নাস্তানাবুদ হয়েছেন বহু মানুষ। রামপুরহাটের এক কাউন্সিলরের তো মাথাও ফাটিয়ে দেয় প্রতারকরা।
সাঁইথিয়া থানা অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকবার এদের গারদে পুড়লেও চক্রটি এখনও এলাকায় বেশ সক্রিয় বলেই স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
প্রতারকদের খপ্পরে না পড়ার আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি। তবুও প্রতারকদের এই দলটি এখনও বেশ সক্রিয় এই এলাকায়। কলকাতার কর্পোরেট কর্তার কাছে আসা ফোন কলটাই তার সবথেকে বড় প্রমাণ।
ভোটবাজারে প্রশাসনের সক্রিয়তা যখন তুঙ্গে তখনই প্রতারকরা মাথা তুলতে সাহস পায় কি করে? সেটাই আজকের সবথেকে বড় প্রশ্ন।