Trending

ধান উৎপাদনে রাজ্য দেশের মধ্যে এক নম্বরে থাকলেও এখন তৈলবীজ উৎপাদনে সামনের সারিতে এগিয়ে আসতে চাইছে বাংলা। সমানে সমানে টক্কর দিতে চাইছে রাজস্থান, গুজরাত বা মহারাষ্ট্রের মত রাজ্যকে। যারা তৈলবীজ উৎপাদনে রয়েছে একেবারে সামনের সারিতে। এবার বাংলাকেও তৈলবীজ উৎপাদনে ফ্রন্টফুটে নিয়ে আসতে আসরে নামল কৃষি দফতর। হাতিয়ার করছে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশন, আতমা, পূর্ব ভারতের সবুজ বিপ্লব আনয়ন প্রকল্পকে। তারই হাতেগরম প্রমাণ পাওয়া গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।
বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কৃষিদপ্তর জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশনের মাধ্যমে চাষিদের সর্ষে চাষে রীতিমত উদবুদ্ধ করেছে। তৈলবীজের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে কয়েকমাস আগে কৃষকদের হাতে বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হয়েছে সরিষা বীজ ও কীটনাশক ওষুধ। ফলন নিয়েও আশাবাদী কৃষকরা।
জমিতে ফলন ভালোভাবে হচ্ছে কিনা তার জন্য কৃষি দফতর রেখেছে ২৪ ঘণ্টা নজর। কোলাঘাট ব্লকের সহকৃষিঅধিকর্তা সমীরন ধাড়া। তিনি নিজেও এসেছিলেন পরিদর্শনে। জশাড়, বেলকোঠা, শালুকা গ্রামের ক্ষেতজমি তিনি নিজের চোখে দেখলেন। ফলন নিয়ে তাঁকেও বেশ আশাবাদী থাকতে দেখা গেল।
তৈলবীজের অভাব যেমন রয়েছে। তেমনি সেই অভাব পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চাইছে কৃষি দফতর। নিরন্তর ট্রেনিং এবং দিনভর পর্যবেক্ষণের ফলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাও যে তৈলবীজের ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ করতে পারবে সেই বিশ্বাস রাখেন জেলা কৃষি আধিকারিক নকুল চন্দ্র মাইতি।
তৈলবীজ উৎপাদনের জন্য কৃষি দফতর জেলার চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বাড়িয়ে তুলছে। সর্ষে বা অন্যান্য তৈলবীজ চাষ করলে যেমন কৃষকদের খরচ একটু হলেও কম হবে। তেমনি লাভের মার্জিন থাকবে অনেকটাই বেশি। আর তৈলবীজ উৎপাদনে রাজ্য যদি আত্মনির্ভর হয় তাহলে যে হারে বাজারে তেলের দাম চড়া হচ্ছে, সেদিক থেকে অনেকটাই সুরাহা পাবেন রাজ্যবাসী।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর