Daily

বিধানসভা নির্বাচনের সময় নন্দীগ্রাম ছিল হাই ভোল্টেজ কেন্দ্র। কারণ সেই কেন্দ্রে মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজ্যের দুই সবচেয়ে চর্চিত ব্যক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের পর গোটা বাংলায় ঘাসফুল ফুটলেও নন্দীগ্রামে পরাজয় হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতার। সেই গণনারই কারচুপির অভিযোগ এনে আদালতে পৌঁছে গেছিল তৃণমূল। মাত্র ১২০০ ভোটের ব্যবধানে মমতা জিতে গিয়েছেন, এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই আবারও নতুন করে গণনা শুরু হয়। যেখানে দেখা যায়, মমতাকে পরাজিত হতে হয়েছে নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। তারপরেই শাসক শিবির গণনার কারচুপির অভিযোগ করতে শুরু করে। শুক্রবার বেলা ১১ টা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে এই মামলা হবার কথা থাকলেও পিছিয়ে যায় শুনানি। এবার বিজেপি শিবিরকে আরও অস্বস্তিতে ফেলে দিয়ে শুধু নন্দীগ্রাম নয়, আরও ৪টি কেন্দ্রে গণনায় কারচুপি হয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করল শাসক দল।
বলরামপুর, গোঘাট, ময়না এবং বনগাঁ দক্ষিণে তৃণমূলের পরাজয় হয়েছে। এবং খুব কম ব্যবধানে আসন দখল করেছে বিজেপি। যা শাসক দলের দ্বিধা ক্রমশই বাড়িয়েছে। পুরুলিয়ার বলরামপুরে তৃণমূলের শান্তিরাম মাহাতোকে মাত্র ৪২৩ ভোটে পরাজিত করে বিজেপির বাণেশ্বর মাহাতো। ময়নায় বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক দিন্দার কাছে ১ হাজার ২৬০ ভোটে পরাজিত হন তৃণমূলের সংগ্রামকুমার দলুই। বনগাঁ দক্ষিণে তৃণমূলের প্রার্থী আলোরাণী সরকার বিজেপির স্বপন মজুমদারের কাছে পিছিয়ে পড়েন ২০০৪ ভোটে। এবং গোঘাটে বিজেপির বিশ্বনাথ কারকের কাছে ৪,১৪৭ ভোটে পরাজিত হন তৃণমূলের প্রার্থী মানস মজুমদার। এই প্রত্যেকটি কেন্দ্রে গণনার কারচুপির অভিযোগ তৃণমূল তুললেও গোঘাটের বিজেপি প্রার্থী বিশ্বনাথ কারকের বিরুদ্ধে মানসের অভিযোগ ভুল তথ্য পরিবেশন। তিনি জানিয়েছেন মইনুদ্দিন খান খুনের মামলায় ২০১৭ সাল থেকে বিশ্বনাথের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। মানস দাবি করেছেন, তিনি বিশ্বনাথের প্রার্থীপদ বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কর্ণপাত করেনি কমিশন।
সবমিলিয়ে রাজ্য রাজনীতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এদিকে সরব হয়েছে বিজেপিও। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, বেছে বেছে কোন কেন্দ্র নয়। ২৯২টি আসনেই নতুন করে গণনা করতে হবে।
ব্যুরো রিপোর্ট