Agriculture news
পশ্চিমবঙ্গের শীতকালীন অর্থনীতির অনেকটাই নির্ভর করে আলু চাষের ওপর। আর এই আলু চাষের অধিকাংশটাই হয় পূর্ব বর্ধমান জেলায়। জেলা কৃষি দপ্তর থেকে জানা যাচ্ছে, এই বছর প্রায় ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেছেন চাষি ভাইরা। ইতিমধ্যেই আলু উঠতে শুরু করেছে মাঠ থেকে। ফলনও বেশ ভালো। কিন্তু নতুন আলু উঠতেই দাম কমতে থাকায় মাথায় হাত পড়েছে আলু চাষিদের। চাষিরা বলছেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ফলন বেশি হয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকেই আলুর দাম কম পাচ্ছেন চাষিরা। মার্চ থেকে হিমঘর খোলার সম্ভাবনা থাকলেও চলতি মাসে নেই হিমঘরে আলু রাখার সুযোগ। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই কম দামে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের।
বর্তমানে আলুর যা দাম, তাতে চাষের খরচটুকুও উঠছে না বলে দাবি কৃষকদের একাংশের। এক বিঘে আলু চাষ করতে কৃষকের কমবেশি খরচ হয়েছে ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকা। সেখানে বস্তা প্রতি তারা দাম পাচ্ছেন ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। তারা জানাচ্ছেন, এবছর আলুর বীজের দাম নাগালের মধ্যে থাকলেও বাড়তি দাম দিয়ে রাসায়নিক কিনতে হয়েছে তাদের। অন্যদিকে বেড়েছে সেচ এবং শ্রমিকের খরচ। সব মিলিয়ে খরচের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজারের অঙ্ক ছুঁয়েছে।
পরপর দুবছর লকডাউনের পর এবার আলু চাষিরা লাভের মুখ দেখবে বলেই তাকিয়ে ছিল। কিন্তু দাম কমতে থাকায় এখন তারা খরচ তোলা নিয়েই চিন্তায় পড়েছেন। শেষ পর্যন্ত লোকসানের অঙ্কটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন আলু চাষিরা। কৃষি দপ্তর অবশ্য এখনই লাভ ক্ষতির অঙ্কে যেতে চাইছে না। কৃষি কর্তাদের দাবি, ফসল কাটার পর সম্পূর্ণ রিপোর্ট হাতে পেলে পরিস্থিতি বোঝা যাবে। আর এই টানাপোরেনের মধ্যে দাঁড়িয়ে এখন সরকারি সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছেন আলু চাষিরা।
সুব্রত সরকার
বিজনেস প্রাইম নিউজ