Market
টার্গেট ২০৩০। আত্মনির্ভরতার পথে এগোচ্ছে ভারত। এবার আমদানিকৃত জ্বালানি তেলের উপর নির্ভরতা কমাতে বিশেষ পদক্ষেপ মোদী সরকারের। জীবাশ্ম জ্বালানীর পরিবর্তে অজীবাশ্ম জ্বালানিতেই আস্থা রাখছে ভারত সরকার। তাই আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নন ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার ৫০ শতাংশে পৌঁছনোর পথে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তারা। শুধু তাই নয়। ২০৭০ সালের মধ্যে ফসিল ফুয়েলের উপর নির্ভরতা যাতে শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত কেন?
তেল আমদানির ক্ষেত্রে বিশ্ব বাজারে ভারত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। প্রায় ৮৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেল আমদানি করে ভারত। এদিকে অপরিশোধিত তেলের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট অর্থনীতিবিদদের কপালে। গত ১০ বছরের রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে আমদানিকৃত জ্বালানি তেলের দাম। নেপথ্যে অবশ্যই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি। আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জ্বালানি তেলের উপর নির্ভরতা কমাতে এবার তাই বিশেষ পদক্ষেপ নিল মোদী সরকার। গত রবিবার, গুজরাটের গান্ধীনগরে জাপানের কোম্পানি সুজুকি মোটর কর্পের ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে, ভারতের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে একগুচ্ছ প্রস্তাব রাখেন নরেন্দ্র মোদী।
ধীরে ধীরে ইভি হাব হতে চলেছে ভারত। যত দিন যাচ্ছে, বাড়ছে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের ডিম্যান্ড। কারণ পেট্রোল ডিজেল কিনতে কিনতে পকেট ফুটো হচ্ছে আমজনতার। আর এই ডিম্যান্ড বৃদ্ধি নীরবে বিপ্লব করতে চলেছে ইভি ইন্ডাস্ট্রিতে। বাড়তে থাকা ডিম্যান্ডের উপর ডিপেন্ড করে ইভি ভেহিকলের উপরে ভর্তুকিও বাড়িয়েছে ভারত সরকার। আর এই নন-ফসিল ফুয়েলের ব্যাবহার যে এই ইভি ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে মদত দেবে, তা বলাই যায়।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ