Academy

২০২৩ সালে পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হলেন তিন বিজ্ঞানী-ইউএসের পিয়ের অগস্টিনি, হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ক্রাউৎজ এবং ফ্রান্সের অ্যানে এলহুইলার। অ্যাটো সেকেন্ড আলোর স্পন্দন তৈরি করার পরীক্ষামূলক পদ্ধতি নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা করার জন্যই এঁরা পুরস্কার পেলেন। এতদিন আমরা সময়ের খুদ্রতম একক বলতে ন্যানো সেকেন্ডকেই বুঝতাম। এই ন্যানো সেকেন্ড হল এক সেকেন্ডের ১০০ কোটি ভাগের এক ভাগ। কিন্তু মঙ্গলবার এই তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা হবার পর পরই সংবাদের হেডলাইনে উঠে এল এই অ্যাটো সেকেন্ড। এই অ্যাটো সেকেন্ড হিসেব করতে হলে একের পর ১৮ টা শূন্য বসাতে হয় যাকে বলা হয় কুইন্টিলিয়ান। এক অ্যাটো সেকেন্ড হল এক সেকেন্ডের এক কুইন্টিলিয়ান ভাগের এক ভাগ।
১৯৮৭ সালের গবেষণাতে ফ্রান্সের অ্যানে এলহুইলার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে লেজার তরঙ্গ কি করে ইলেকট্রনকে এত শক্তি দেয় আর সেই শক্তিই আলো হিসেবে প্রকাশ পায়। আবার পিয়ের ২০০১ সালে ২৫০ অ্যাটো সেকেন্ড স্থায়ী হয় এমন আলোকস্পন্দন তৈরি করেছিলেন। ওই এক সময়ে ফেরেঙ্ক আবার জার্মানিতে ৬৫০ অ্যাটো সেকেন্ড সময়ের আলোকস্পন্দন তৈরি করেছিলেন।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে যে তিন ভিন্ন দেশের তিন বিজ্ঞানীর এই আবিস্কারের ফলে ইলেকট্রন গতিবিদ্যায় এক নতুন দিগন্তের সন্ধান পাওয়া গেল। খুলে গেল ইলেকট্রন জগতের অনেক অজানা দরজা। ইলেকট্রন কীভাবে কোন দিকে ক্রমাগত ছোটাছুটি করে চলেছে এবং শক্তি পরিবর্তন করছে তা মাপার ব্যাপারে এক নতুন পথ দেখাবে এঁদের আবিস্কার। ইলেকট্রন নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়াগুলো আরও ভাল করে বোঝার সুযোগ করে দিয়েছে এই অ্যাটো সেকেন্ড। এখন পরের ধাপ হল এদের সঠিকভাবে কাজে লাগানো।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ