Market

অতিমারিতে বন্ধ হয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষের ভবিষ্যতে নেমেছে অনিশ্চয়তা। বিধ্বস্ত হয়েছে দেশের পর্যটন শিল্প। যা ভারতের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে মজবুত রাখার অন্যতম প্রধানক্ষেত্র। আর পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা রাখতে হাল ছাড়ল না কেন্দ্র। বর্তমানে ভারতে ক্রমশ করোনার গ্রাফ নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। আর ঠিক এই সময়েই পর্যটকদের আবার ভারতমুখো করাতে মোক্ষম দাওয়াই দিলেন অর্থমন্ত্রী। পর্যটনশিল্পকে আবার চাঙ্গা করে তুলতে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৫ লক্ষ পর্যটককে বিনামূল্যে ভিসা অনুমোদন দেওয়ার কথা জানালেন সীতারামন।
দেশের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সুবিধা পর্যটক পিছু একবারই পাওয়া যাবে এবং তার জন্য অর্থমন্ত্রী ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার স্বীকৃত ট্যুর গাইডদের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, ট্যুর গাইড এবং এজেন্সিগুলো সামান্য কিছু শর্তের বিনিময়েই ১০০% গ্যারান্টিতে পাবেন এই ঋণ।
দেশের আয়ের বড় অংশ আসে পর্যটন শিল্পের হাত ধরেই। কিন্তু অতিমারির অভিশাপে আজ পর্যটন ব্যবসা পৌঁছে গিয়েছে একেবারে তলানিতে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে দেশে ১ কোটি ৯ লক্ষেরও বেশি পর্যটকরা ভারতে এসেছিলেন। যার হাত ধরে কেন্দ্রীয় কোষাগারে ঢুকেছিল প্রায় ২৩ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা। কিন্তু এবার আর ক্ষতির মুখ দেখতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার। তাই পর্যটন ব্যবসাকে স্বমেজাজে ফিরিয়ে আনার জন্যই বড় উদ্যোগ নিল অর্থমন্ত্রক।
ব্যুরো রিপোর্ট