Trending

জমজমাট নিনফেট আয়োজিত কৃষক মেলা ও প্রদর্শনীক্ষেত্র। উন্নত মানের পাট ও প্রাকৃতিক তন্তু জাত সামগ্রী, রঙিন মাছ, হলুদ-বেগুনি ফুলকপি, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের হাতের কাজে ভরা মেলার আসর ছিল বেশ রমরমা। আর এবারের নিনফেট আয়োজিত এই প্রদর্শনীর মূল আকর্ষণ ছিল পাটের পাতা থেকে তৈরি চা এবং আলঙ্কারিক মুক্তো। গত ২ মার্চ নিনফেটের কলকাতা ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই প্রদর্শনী উৎসবে উপস্থিত ছিল, নিনফেটের কর্মকাণ্ডে যুক্ত বিভিন্ন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র, ফার্মার্স প্রডিউসার অরগানাইজেশন এবং বিভিন্ন ফার্মার্স প্রডিউসার কোম্পানির কর্মকর্তারা। মেলার প্রতিটি স্টল পর্যবেক্ষণ করেন তারা। কথা বলেন কৃষক ও উদ্যোগী হস্তশিল্পিদের সঙ্গে।
বিগত ৮০ বছর ধরে পাটের মান উন্নয়নের জন্য এবং অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে পাটজাত দ্রব্যের প্রক্রিয়াকরনে প্রশিক্ষণ দিতে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে সংস্থা। কৃত্রিম প্লাস্টিকের আড়ালে হারিয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক তন্তুর ব্যবহার বাড়াতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে চলেছে এই সংস্থা। এছাড়াও পাট চাষ থেকে শুরু করে পাটজাত পণ্যের উৎপাদন এবং বিক্রির মাধ্যমে চাষিভাইরা বিশেষভাবে উপকৃত হন, সেদিকেও রয়েছে তাঁদের ২৪ ঘণ্টার নজত্র। বিজনেস প্রাইম নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন, নিনফেটের ডাইরেক্টর, ডা ডি বি শাক্য ওয়ার।
নিনফেটের নেওয়া এই উদ্যোগে উপকৃত হয়েছেন অনেকেই। বেকার যুবক যুবতী থেকে শুরু করে ঘরের মহিলারা পেয়েছেন রোজগারের নতুন দিশা। মাস গেলে আয় করছেন অন্ততপক্ষে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। এছাড়াও ফেলে দেওয়া ফলের খোসা থেকে কিভাবে তারা তন্তু উৎপাদন করছেন সেকথাও জানাচ্ছেন নিনফেটের ট্রান্সফার অফ টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান অলোকনাথ রায়।
এদিনের এই প্রদর্শনীক্ষেত্রের শুভ সূচনা করেন আইসিএআর নিউ দিল্লির ডিডিজি ইঞ্জিনিয়ার ড. এস এন ঝা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নিনফেটের ডাইরেক্টর ডি বি শাক্যওয়ার, ট্রানস্ফার অব টেকনোলজি, নিনফেটের প্রধান অলোকনাথ রায় সহ আরও অনেকেই। এদিন মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা এবং কৃষকদের সাথে কথাবার্তা বলা বা পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি ট্রেনিং এন্ড ডিজাইন সেন্টারের ফলক উন্মোচন করেন ড এস এন ঝা। একইসঙ্গে SAIF কাম সিটিসি ল্যাবরেটরি দ্বারোদঘাটন করেন ডিডিজি ড. এস এন ঝা। সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক তন্তুর গুরুত্ব বোঝাতে এবং তার ব্যবহার বাড়াতে এবারের নিনফেট আয়োজিত প্রদর্শনীতে যে বেশ ভালোরকমেরই সাড়া মিলেছে, তা বলাই যায়।
সুব্রত সরকার
কলকাতা