Story
সম্প্রতি বস্ত্রশিল্পে জোয়ার আনতে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বড়সড় আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়। যার আসল লক্ষ্য, একদিকে বস্ত্রশিল্পের মাধ্যমে দেশের আর্থিক মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করা। অন্যদিকে বস্ত্রশিল্পের মানোন্নয়ন জারি রাখা। এবার সেই উদ্দ্যেশেই বস্ত্রের মানকে আরো কতটা টেকসই করা যায় এবং উৎপাদিত বস্ত্রের মানকে আরো কতটা উন্নত করা যায়, তাই নিয়েই একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হল ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের নিনফেটের কলকাতার নিজস্ব অডিটোরিয়ামে। যেখানে কম কাঁচামাল, কম কার্বন নিঃসরণ এবং পরিবেশবান্ধব বস্ত্র কিভাবে তৈরি করা যায় সেই নিয়ে আলোচনা করলেন বিজ্ঞানীরা। আলোচনা অন্য মাত্রায় পৌঁছয় মানোন্নয়ন বিষয়ে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড এই সেমিনারে সামিল হওয়ায়।
বস্ত্রশিল্পে পাট নিঃসন্দেহে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এই পাট থেকে কিভাবে তন্তু বের করা যায় আর কিভাবেই বা তার আধুনিকীকরণ করা যায় সেই বিষয়েই খেয়াল রাখছে নিনফেট। নিনফেট ন্যাচারাল ফাইবার নিয়ে বহুমুখী গবেষণার কাজ করে। এবং তারা সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। তবে তা সার্বিকভাবে করতে গেলে শুরু করতে হবে কৃষকের জমি থেকে। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত বললেন নিনফেটের কলকাতা শাখার অধিকর্তা ডঃ ডি বি শেখওয়ার।
নিনফেটের এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিআইএস। যাদের নজর থাকবে বস্ত্রের মানের উপরেও। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানালেন বিআইএসের টেক্সটাইল বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী অসীম কুমার বেরা।
সাধারণত বস্ত্র তৈরি করতে গেলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সবশেষে উৎপাদিত বস্ত্রের মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তাই গবেষণার মধ্য দিয়ে কিভাবে ভালো বস্ত্র শিল্প সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া যায় সেটাই ছিল আজকের সেমিনারের মুখ্য বিষয়। পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে বস্ত্র উৎপাদনের জন্য ন্যাচারাল ফাইবার কে এগিয়ে রাখা যেতে পারে। একইসঙ্গে ন্যাচারাল ডাইং, ন্যাচারাল ফিনিশিং পথ দেখাতে পারে।
বর্তমানে বস্ত্র উৎপাদন করতে গেলে যেমন কাঁচামাল বেশি লাগছে, তেমনি শক্তি লাগছে অনেক বেশি। ব্যবহার বাড়ছে ক্ষতিকর পদার্থের। কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে বেশি পরিমাণে, পরিবেশের পক্ষে যা ক্ষতিকারক। তাই নিনফেট এবং বিআইএসের এই যৌথ উদ্যোগ আশা করা যায় পাট শিল্পের মাধ্যমে উৎপাদিত বস্ত্রের মান অনেকটাই তুলে ধরবে। শুধু কলকাতা নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের আলোচনা সভা শুরু হয়েছে। আর সময়ের সঙ্গে এগিয়ে আশা করা যায় বস্ত্র শিল্পে যে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হত, ক্রমশই সকল সমস্যা কেটে বেরিয়ে আসবে সমাধানের পথ।
সুব্রত সরকার, অঙ্কিত মুখার্জী