Daily
গ্রামের নাম কুনোরের হাট পাড়া। লোকমুখে পরিচিত, উত্তর দিনাজপুরের টেরাকোটা গ্রাম নামেই। সেখানকার ঘরে ঘরে রয়েছেন সব বাঘা বাঘা মৃৎশিল্পী। প্রচারের নিরিখে নয়, অবশ্যই শিল্পের গুণেই। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মতই এখানকার টেরাকোটা শিল্পের কদর জগতজোড়া। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হামেশাই বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে এখানকার প্রোডাক্ট। কালিয়াগঞ্জের এই গ্রামের টেরাকোটা শিল্পকে তাই বিশ্বের বাজারে আরও বেশি করে তুলে ধরতে শিল্পীদের একেবারে হাতে ধরে ট্রেনিং দিচ্ছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি।
আধুনিকতার বেড়াজালে জড়িয়ে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার ঐতিহ্যশালী শিল্পের সম্ভার। তাই ফিকে হতে থাকা বাংলার এই শিল্পকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে এবং অবশ্যই শিল্পীদের আয় বৃদ্ধি করতে সরকারি উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়। গত ফেব্রুয়ারি থেকে সেখানে ট্রেনিং নিতে শুরু করেন প্রায় ৪০ জন শিল্পী। প্রশিক্ষণ চলবে ১৮ মে পর্যন্ত। কাজেই নিত্য নতুন ডিজাইনের প্রোডাক্ট তৈরির প্রশিক্ষণ নিতে এখন ভীষণ ব্যস্ত এখানকার মৃৎশিল্পীরা।
ডিজাইন বা প্রোডাক্টে ভ্যারাইটি থাকলে বেশি উপার্জন হয়। এ কথা নিজে মুখেই বললেন ট্রেনিংপ্রাপ্ত শিল্পী বিপদ ভঞ্জন রায়। টেরাকোটা শিল্পের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে এই ধরণের উন্নতমানের প্রশিক্ষণ পেয়ে উপকৃত এখানকার শিল্পীরা।
বাজারে টেরাকোটার নিত্যনতুন ডিজাইনের চাহিদা বরাবরই থাকে তুঙ্গে। আর এই প্রশিক্ষণ পাওয়ার পরে বাজারের সেই চাহিদা মেটাতে আরও বেশি করে মনজগি হবেন শিল্পীরা। বাড়বে আগ্রহ। কাজেই এখানকার শিল্পীদের প্রচারের আলোয় আনতে এবং আয় বাড়াতে এই ধরণের প্রশিক্ষণ শিবির সত্যি গুরুত্বপূর্ণ।
অনুপ জয়সয়াল
উত্তর দিনাজপুর