Daily

কারণ একটাই, মৃত্যু অনেক। একে একে ছেড়ে গিয়েছে বহু পরিচিত মানুষ, একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে হৃদস্পন্দন। ত্রস্ত মানুষ, বিদ্ধস্ত মানুষ। শারীরিক, মানসিক এবং মানুষের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য মুখ থুবড়ে পড়েছে একেবারে। মাত্র কয়েক মাইক্রোমিটার আকৃতি নিয়ে এভাবেই গত দেড় বছর ধরে সাইক্লোন বইছে করোনা ভাইরাসের।
আসছে একের পর এক ভ্যারিয়েন্ট আর দেয়ালে পীঠ ঠেকিয়েও বাঁচার লড়াই জারি রাখছে মানুষ। করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর এবার আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা এক্ষেত্রে অনেক, অনেক বেশি। করোনা ভাইরাসের ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট -এর জন্য। ভারতের প্রায় ১২ টি রাজ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ডেল্টা প্লাসের সাংঘাতিক আক্রমণ। এখানেই শেষ নয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েই দিলো আছে করোনার আরও তিনটে ভ্যারিয়েন্ট- আলফা, বিটা এবং ডেল্টা।
তবে এই সব কটির সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টটি। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা ভাইরাসের যে মিউট্যান্ট পাওয়া গিয়েছিল তার থেকেও বেশি ভাইরাল ভারতের এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। সামাজিক দুরত্ববিধি না মানলে এটি অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পরে এবং ক্ষতি করার ক্ষমতা সংঘাতিক। কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী দিনে উদ্বেগের মুখ্য কারণ হয়ে দাঁড়াতে এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মতে, সংক্রমণ যত ঘনীভূত হতে শুরু করে, জনসমাজে মিশে যায় তত ভাইরাস মিউট্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
ব্যুরো রিপোর্ট