Daily

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ারলাইনস উচ্চগতির ১৫টি সুপারসনিক উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা কথা জানিয়েছে। মার্কিন আকাশযান নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বুম সুপারসনিক থেকে এই উড়োজাহাজগুলো কেনা হবে। সবকিছু ঠিকাঠাক থাকলে আগামী ২০২৯ সাল থেকে এই উড়োজাহাজে যাত্রী পরিবহনের আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। সেই ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যেতে সাড়ে তিন ঘণ্টা আর মার্কিন শহর সান ফ্রান্সিসকো থেকে জাপানের রাজধানী টোকিওতে যেতে লাগবে মাত্র ছয় ঘণ্টা সময়।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস ও বুম সুপারসনিক গত বৃহস্পতিবার একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের চাওয়া অনুযায়ী নিরাপত্তা, চলাচল ও টেকসইয়ের শর্তগুলো পূরণ করতে পারলেই একটি বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় ইউনাইটেড এয়ারলাইনস ওভারচার নামের ওই সুপারসনিক উড়োজাহাজগুলো কিনবে। ২০২৯ সালে যাত্রী পরিবহন শুরুর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাদের। এর মধ্য দিয়ে আকাশপথে যাত্রীবহনে কনকর্ডের মতো উচ্চগতির সুপারসনিক ফিরে আসতে পারে।
ইউনাইটেড এয়ারলাইনস ও বুম সুপারসনিকের চুক্তি অনুসারে প্রথমে ১৫টি উড়োজাহাজ সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া আরও ৩৫টি উড়োজাহাজ কিনতে পারবে ইউনাইটেড।
তবে এই উড়োজাহাজ নিয়ে অনেক বিশ্লেষকদের মনে সন্দেহেও রয়েছে। বিশেষ করে, উড়োজাহাজের গতিসীমা নিয়ে তাঁদের এই সন্দেহ প্রবল। এই সন্দেহপ্রবণ বিশেষজ্ঞদের একজন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এআইআরের বিশেষজ্ঞ মিশেল মেরলুজিউ। তিনি বলেছেন, ‘এটি একটি দারুণ ধারণা, তবে এ নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন।’ নতুন এই বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের প্রতিটি নির্মাণ থেকে শুরু করে চলাচলের অনুমতি পেতে এক থেকে দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে।’ ২০২৯ সালের মধ্যে এই উড়োজাহাজ আকাশে উড়ানো নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। সেই ক্ষেত্রে তিনি এমন বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর জন্য ২০৩৫ বা ২০৪০ সালকে জুতসই সময় হিসেবে দেখছেন।
ব্যুরো রিপোর্ট