Daily
প্রাকৃতিক কারণ হোক কি অপ্রাকৃতিক কারণ, সাধারণ ফসলের পাশাপাশি এসবের প্রভাব পরছে মৎস্য চাষের ক্ষেত্রেও।
অনাবৃষ্টি, চড়া তাপমাত্রা এবং প্রাকৃতিক দূষণের কারণে মাছের প্রজননে পড়ছে গভীর প্রভাব। এসবের কারণে হ্যাচারি গুলিতে কমছে পোনা উৎপাদন। ডিম দেওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ না পাওয়ার ফলে, পেটে ডিম আসলেও ডিম ছাড়ছে না মাছ। ক্রমেই বাড়ছে মাছের রোগাক্রান্ত হওয়ার হার ও মৃত্যুহার। মাছেদের এই অকাল মৃত্যু শুধু যে মাছ চাষিদের চিন্তায় ফেলছে তা নয়, চিন্তিত দেশের বিজ্ঞানী মহলও। আর ঠিক এই সময়ে দাঁড়িয়েই মৎস্য বিজ্ঞানীরা তৈরি করলেন অভিনব ভ্যাকসিন “সিফা-ব্রুড-ভ্যাক”। প্রজনন যোগ্য স্ত্রী মাছের এই ভ্যাকসিনের প্রথম চাষি পর্যায়ে প্রয়োগ শুরু হল পূর্বমেদনীপুর জেলার এগরা ব্লকে।
আসুন শুনে নেওয়া যাক মাছের টিকা সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় কি বলছেন এই ভ্যাকসিনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মিঠা জল গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক তথা এই টিকার আবিষ্কারক ডক্টর মৃণাল সামন্ত।
এই টিকাকরনের কর্মকাণ্ডকে ঘিরে এলাকার মাছ চাষিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ।
মেদিনীপূরের পর অন্যান্য জেলাতেও এই টিকাকরন প্রক্রিয়া চালু করার পরিকল্পনা করছে মৎস্য দপ্তর। এখন এই টিকাকরন প্রক্রিয়ার পর মাছ চাষে কতটা সুফলের মুখ দেখে মৎস্য চাষিরা সেটাই দেখার।
প্রসুন ব্যানার্জি
পূর্ব মেদিনীপূর