Daily
ব্যাঙের ছাতার মত মোটর ট্রেনিং স্কুল আর সেখানে গেলেই মিলছে ড্রাইভিং লাইসেন্স। অনেক সময় আন্ডার দ্য টেবিল দিয়েও হয়ে যাচ্ছে টাকার বিনিময়ে। গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ ভালো ভাবে না পেলেও লার্নার লাইসেন্সটি পেয়ে যাচ্ছেন অনেকে। এবার সেইসব দিন শেষ। কঠোর হচ্ছে পরিবহন দফতর। দিনে দিনে যেভাবে গাড়ি দুর্ঘটনার দরুন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, তারপর হয়ত এই পদক্ষেপ নিতেই হত। আর তাই পরিবহন দফতরের পক্ষ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে, এবার নতুন লাইসেন্স পেতে গেলে আবেদন করতে হবে পরিবহন দফতরের পোর্টালে। পরিবহন দফতরের ‘সারথি’-তে গিয়ে আবেদন জানাতে হবে। এতে করে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে বলে মনে করছে পরিবহন দফতর। একঃ বেসরকারি মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলোকে দারুণ একটা শিক্ষা দেওয়া যাবে আর যারা নিতে চান তাঁরা ঐ আন্ডার দ্য টেবিল টাকা দিয়ে নিতে পারবেন না তাঁদের লার্নার লাইসেন্সটি।
কিভাবে অ্যাপ্লাই করবেন? দেখুন, পরিবহন দফতরের স্বীকৃতি রয়েছে রাজ্যে এমন মোটর ট্রেনিং স্কুলের সংখ্যা ৫৪৭। এই সবকটি পরিবহন দফতরের পোর্টালে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে নতুন কেউ যদি লাইসেন্স নিতে চান তাহলে সবার আগে ঐ পোর্টালে গিয়ে নিজের নাম নথিভুক্ত করান। সেখানে উল্লেখ করতে হবে কোন সংস্থা থেকে আপনি গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। সঙ্গে বলতে হবে কি ধরণের গাড়ি আপনি চালাবেন। ব্যক্তিগত নাকি বাণিজ্যিক? খেয়াল রাখবেন, যে সকল মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলো পোর্টালে রয়েছে তাদের মাধ্যমে না করলে কিন্তু ঐ লাইসেন্স গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। পরিবহন দফতর মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলোকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেবে। এখানে নতুন গাড়ি চালকদের ৩০ দিনের ট্রেনিং নিতে হবে। যদি ট্রেনিং-এর এই দিন ট্রেনিরা কমপ্লিট না করেন তাহলে লাইসেন্স দেওয়া হবে না বলেও জানা গিয়েছে।
পরিবহন দফতর মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলির সঙ্গে এভাবেই কথা বলেছে। স্বীকৃত মোটর ট্রেনিং স্কুল ছাড়া আর যেখান সেখান থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যাবে না। এখন কেন এতো কড়াকড়ি? নতুন ড্রাইভারদের সঠিকভাবে গাড়ি চালাতে হবে। তাঁরা যদি প্রপার ট্রেনিং পান তাহলে রাস্তায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ