Trending
দুর্দিনে আশা দেখাচ্ছে ভারত। ধুঁকতে থাকা ব্যবসায় আবারও দেখা গেল আশার আলো। ২০২২-এ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যা হাতেকলমে নেটফ্লিক্সে ভারতীয় দর্শকদের এনগেজমেন্ট অন্তত সেটাই বলছে। তাই ভারতে নেটফ্লিক্স নিজের ব্যবসাকে আরও ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী তারা। আপাতত সেই সমীকরণ মেনেই নেটফ্লিক্স এগিয়ে যেতে চাইছে সামনের সারিতে এবং পিছনে ফেলে দিতে চাইছে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যামাজন প্রাইমকে।
সম্প্রতি ২০২২ সালের একটি রিপোর্ট হাতে আসে আমেরিকার এই জায়েন্ট ওটিটি প্ল্যাটফর্মের। যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতে কনজিউমার এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩০% মতন, অন্যদিকে আয়ের অঙ্কটাও একধাক্কায় বেড়েছে ২৪ শতাংশ মতন। তার জন্য অবশ্য নেটফ্লিক্স নিজেদের সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজে একটা বদল এনেছিল। বিষয়টা হচ্ছে, করোনার পর নেটফ্লিক্স যেভাবে একের পর এক ক্ষতির বোঝা ঘাড়ে নিয়ে চলছিল, বিশেষত ভারতে সেটা যথেষ্ট অ্যালার্মিং ছিল। তারপরেই কার্যত বিজনেস মডেলে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয় নেটফ্লিক্স। ২০২১ এর ডিসেম্বরে সেই বদল আনে। সেটা কী? নেটফ্লিক্সে আগে মোবাইল অনলি প্ল্যান নিতে গেলে যেখানে খরচ পড়ত ১৯৯ টাকা মতন, সেখানে একধাক্কায় খরচের অঙ্ক কমিয়ে আনে সংস্থা। এবং নেটফ্লিক্সের মোবাইল অনলি প্ল্যানের টাকার অঙ্ক কমিয়ে আনে ১৪৯ টাকায়। তারপরেই উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে থাকে সাবস্ক্রিপশনের সংখ্যা। দেখা গেল, নেটফ্লিক্সের সাবস্ক্রিপশন রেট এক ধাক্কায় বৃদ্ধি পেয়ে হল ২০-৬০ শতাংশ মতন।
দেশব্যাপী নেটফ্লিক্সের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা রয়েছে ৬ মিলিয়ন মতন। সেখানে অ্যামাজন প্রাইমে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা রয়েছে ২০ মিলিয়ন মতন। এমনকি ডিজনি হটস্টারে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা রয়েছে ৫৭.৫ মিলিয়ন মতন। কর্মকর্তারা কথা যদি ধরা যায়, তাহলে একটু ঘুরিয়ে বলা যেতে পারে যে, নেটফ্লিক্সের জন্য ভারত এখন সোনার ডিম পারা হাঁস। আর যে কারণে নেটফ্লিক্স নিজের ব্যবসায়িক পরিধি ছড়াতে পারে ভালোরকম উদ্যোগ নিয়েছে। নিত্যনতুন কনটেন্ট নিয়ে হাজির হচ্ছে সংস্থা। একইসঙ্গে নিজেদের সাবস্ক্রিপশনে প্ল্যানে বদল আসার কারণেই নেটফ্লিক্স দেখছে লাভের মুখ।
এখানেই জানিয়ে রাখি, নেটফ্লিক্স নিজের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কনটেন্টের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য খরচ করছে ১৭ বিলিয়ন ডলার। এখন বিষয়টা হচ্ছে, অতিমারির সময় যখন প্রায় সবকিছু থমকে গেছিল, ঠিক সেই সময় নেটফ্লিক্স ভারতে দুর্দান্ত আয়ের মুখ দেখতে পায়। তাদের ইকোনমির গ্রাফ ছিল ওপরের দিকে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে অতিমারি পরবর্তী সময়ে নেটফ্লিক্স খুব তাড়াতাড়ি নিজেদের সাবস্ক্রাইবার হারাতে শুরু করে। সংস্থাটি সেই সময় সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানেও কিছু অদলবদল এনেছিল। কিন্তু তারপর আর গ্রাফ ওপরের দিকে থাকে নি। বরং নিচের দিকেই নামছিল তাদের লাভের অঙ্ক। ক্রমশই তাদের মাথায় চাপছিল ক্ষতির বোঝা। কিন্তু অবশেষে সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানে সামান্য বদল এনেই ফের ভারতে নিজেদের ব্যবসা ঘোরানোর পথে হাঁটল নেটফ্লিক্স।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ