Trending
যে প্রশ্নের উত্তরগুলো জানা নেই, সেগুলো ফাঁকা রাখার নির্দেশ ছিল। ফাঁকা রাখা প্রশ্নের উত্তর লিখে দিতেন শিক্ষক নিজে। বদলে তাকে দিতে হত ১০ লক্ষ টাকা।ভবিষ্যতের ডাক্তার কারা হবেন? সেই চিকিৎসক বাছাইয়ের জন্য নেওয়া হয় নিট পরীক্ষা। আর এবার সেই নিট পরীক্ষা নিয়েই সামনে এল বড়সড় দুর্নীতি।
সম্প্রতি নিট পরীক্ষার রেজাল্ট বেড়িয়েছে। সেই পরীক্ষায় পড়ুয়াদের অভাবনীয় ফল। আর সেই ফলাফল ঘিরেই সন্দেহ এবং বিতর্ক দানা বাঁধছে। নিট পরীক্ষার ইতিহাসে এই প্রথম ৬৭ জন পরীক্ষার্থী সর্বোচ্চ মান পেয়েছেন। মানে ৭২০-র মধ্যে ৭২০। আর এখানেই নিট পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এতটাই জলভাত হয়ে গেল নিট পরীক্ষায় পাশ করা? মাধ্যমিকের চেয়েও সহজ ডাক্তারি পড়া?
এখানেই শেষ নয়। আরও চমক রয়েছে। এই ৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে আবার ৬ জন এমন রয়েছেন, যাদের নাকি একই কেন্দ্রে সিট পরেছিল। এসএসসি, পিএসসি আর এবার নিট- ভবিষ্যতের ডাক্তার কে হবেন, সেই পরীক্ষাতেও দুর্নীতি? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যে আগেই ফাঁস হয়েছিল, তা এখন প্রমাণিত। এখন নিট পরীক্ষার ফলাফল নিয়েও নানারকম ধোঁয়াশা বাসা বাঁধছে। তবে নিটের রেজাল্ট নিয়ে এনটিএ-এর যুক্তি মানতে নারাজ শিক্ষক মহলের একাংশ।
তাদের প্রশ্ন, কীভাবে নিটে ৭১৯ নম্বর বা ৭১৮ নম্বর পেতে পারেন প্রার্থীরা? কারণ কোনও কোনও প্রার্থী ৭১৮ নম্বর বা ৭১৯ নম্বর পেয়েছে। ৭১৮ বা ৭১৯ নম্বর কীভাবে পাওয়া যেতে পারে? কারণ যে ধাঁচে নিট পরীক্ষা হয়, তাতে সেটা সম্ভব নয় বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট মহল। ৭২০-তে ৭২০ উঠতে পারে। কেউ যদি একটা প্রশ্ন ছেড়ে দেয়, তাহলে তার ৭১৬ নম্বর উঠবে। যে ওই প্রশ্নের উত্তর ভুল দিলে সে ৭১৫ নম্বর পাবে। অর্থাৎ ৭২০-র পরের নম্বর হতে পারে ৭১৬ বা ৭১৫। ৭২০ কোনভাবেই নয়। কাজেই নিটের রেজাল্টে যে গলদ রয়েছে, তা স্পষ্ট বলে জানিয়েছেন শিক্ষকমহলের একাংশ।
অনেকেই বলেছেন যে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত এনটিএয়ের। নিটের মতো পরীক্ষা নিয়ে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হলে সেটা মোটেও ভালো বার্তা যাবে না বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।