Daily
নীরজের জ্যাভলিনের ছোঁয়া এবার ভারতের শেয়ার বাজারে। ফেব্রুয়ারি থেকে অগাস্ট সমস্ত রেকর্ড চুরমার করে দিয়ে বাজারে সূচক দাঁড়াল ৫৫ হাজারের ঘরে। এই সাত মাসকেই বাজার বিশেষজ্ঞরা ভারতীয় অর্থনীতির বিশেষ দিক বলে অভিহিত করছেন। করোনাকালে বিশেষত দ্বিতীয় ঢেউতে অর্থনীতির জমি যখন ফাটলে চৌচির, তখন নিঃসন্দেহে বিএসই সেনসেক্সের এই উত্থান ভারতীয় অর্থনীতির উড়ানে জ্বালানির কাজ করেছে।
দালাল স্ট্রিটে সেনসেক্স যখন রকেট গতিতে উঠছে, থেমে নেই তখন নিফটির সূচকও। আর এই দুই মাসতুতো ভাইয়ের যুগলবন্দী বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে আকর্ষিত করছে বাজারে বিনিয়োগ করতে। বাজার বিশেষজ্ঞদের আরও পর্যবেক্ষণ মাত্র ১১ দিনে সেনসেক্স ২৫০০ পয়েন্ট পার করে আজ ৫৫ হাজারের ঘরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
সেনসেক্সের এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে অর্থনীতিবিদদের একাংশ আবার সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন। অর্থনীতিবিদদের এই অংশ মনে করছেন বাজারের উল্কা গতি দেখে বিনিয়োগকারীরা যখনই বেশি বেশি করে বিনিয়োগ করতে শুরু করবেন, তখন সামান্য ছন্দপতন সেনসেক্সকে একেবারে টেনে তলানিতে নামিয়ে দিতে পারে। বিপদে পড়তে পারেন আকাশ থেকে পড়ার মত এই নতুন বিনিয়োগকারীরা। বাজার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ কোন শেয়ারের দাম তরতর করে বাড়লেই এখনই হুট করে বিনিয়োগ করে বসবেন না। কেননা বিশ্ববাজারে আর্থিক হালচাল যে কোন মুহূর্তে সেনসেক্সকে পাতালে পৌঁছে দিতে পারে।
তবে অন্যদিকে, বাজার বিশেষজ্ঞদের বেশিরভাগ অংশ মনে করছেন জুলাইয়ে মূল্যবৃদ্ধির সূচকের পতন ও জুনে শিল্পবৃদ্ধির হার এই দুই মিলেই টেনে তুলেছে বিএসই’র সেনসেক্স ও নিফটিকে। তাই আর্থিক হালচালে এখনই লাভের অঙ্ক তুলে নিতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। যথারীতি শুনিয়ে রেখেছেন বিধিসম্মত সতর্কীকরণ। বাজার কোনদিনই ১০০% ঝুঁকিহীন নয়। সেটা বিনিয়োগকারীরাও ভালো করেই জানেন। এর মধ্যে সরকারের আর্থিক প্যাকেজ বিশেষত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের আবারও ধীরগতিতে উত্থান প্রমাণ করছে অর্থনীতির পালে হাওয়াটা আবারও বইতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে।
ব্যুরো রিপোর্ট