Trending
মোদীর ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন জোট সঙ্গী নীতিশ কুমার?
রাজনৈতিক মহলে এমনই খবর তোলপাড় ফেলেছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে নীতিশ-নাইডুকে নিয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি
অন্যদিকে, সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ইন্ডিয়া জোট
দেখুন বিস্তারিত প্রতিবেদন।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পেরে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি এবং নিতিশ কুমারের জেডিইউ সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছেন নরেন্দ্র মোদি। মোদিকে সমর্থন দেওয়ার পরিবর্তে একাধিক দাবিদাওয়া রেখেছে এই দুটি দল বলেই জানা গেছে। এবার সেই দাবি পূরণের জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছেন নীতিশ কুমার। এমনটাই খবর ছড়ালো রাজনৈতিক মহলে। বাজেটের আগেই বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে মোদীর ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন নিতীশ কুমার। শুধু নীতিশ কুমার নন, জিতেন্দ্র মাঝির দল হাম এবং চিরাগ পাওয়ান-এর দল এলজিপি এই দাবি জানিয়েছে। যদি বিহারকে বিশেষ রাজ্যের স্বীকৃতি না দেয় কেন্দ্র তাহলে বিশেষ প্যাকেজ দেবার দাবি জেডিইউ-এর। জেডিইউ সূত্র জানা গিয়েছে, তারা বাজেট নিয়ে বিশেষভাবে আশাবাদী। বাজেটে সাধারণ মানুষের কথা ভাবা হবে বলেই তাদের ধারণা।
অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বিহার এখনো অনেকটাই পিছিয়ে। তাই বিহারকে সামনের দিকে এগিয়ে দিতে কেন্দ্রের কাছ থেকে হয় বিশেষ রাজ্যের অগ্রাধিকার বা বিশেষ প্যাকেজের দাবি জেডিইউ-এর। হাম দলের জিতেন রাম মাঝি জানিয়েছেন বিশেষ স্বীকৃতি বিহারের মানুষের অধিকার। এই বিষয়ে খোঁচা মারতে ছাড়েনি কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, যবে থেকে এনডিএ-এর সঙ্গে জোট বেঁধে নিতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, তবে থেকেই তিনি বিহারকে বিশেষ সাহায্য করার দাবি জানাচ্ছেন তিনি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি কোন কথাই কানে নিচ্ছেন না। নিতীশ কুমার হল একজন অসহায় মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এবার শিয়রে সংক্রান্তি। সামনেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। নিতিশ কুমার যেভাবে একবার এই জোট, একবার ওই জোট করেছেন- তারফলে বিহারের মানুষের মধ্যে নিতীশ কুমারের জনপ্রিয়তা প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে বলেই জানাচ্ছে একাধিক মহল। এরকম পরিস্থিতিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি রাজ্যের জন্য বিশেষ কোনো সুবিধা তিনি না নিয়ে আসতে পারেন, সেক্ষেত্রে জেডিইউ-এর পক্ষে ভোট বৈতরণী পার করা বেশ কিছুটা কঠিন হয়ে যাবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, যদি কোনভাবে নিতীশ কুমারের এই দাবি কেন্দ্র না মানে, তাহলে কি এর আরেকবার পাল্টি খাবেন নিতীশ কুমার? রাজনীতিতে নিতীশ কুমারের পাল্টি খাওয়া নতুন কোন বিষয় নয়। সে ক্ষেত্রে দূর থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর নজর রাখছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব। এবার আপনাদের বলি ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে একটি রাজ্য বিশেষ রাজ্যের অধিকার পেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার সামাজিক, আর্থিক এবং ভৌগোলিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া কোন রাজ্যকে বিশেষ রাজ্যের স্বীকৃতি দিতে পারে। যার ফলে সেই রাজ্য সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই দেশের ১১ টি রাজ্য বিশেষ রাজ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।
এখন দেখার কথা বাজেটের আগে কেন্দ্রের মোদি সরকারের ওপর তার জোট সঙ্গী নীতিশ কুমারের এই চাপ ঠিক কি প্রভাব ফেলে। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নীতিশ কুমার কি বিহারের জন্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা নিয়ে আসতে পারবেন? নাকি এবার আরেকবার পাল্টি রাজনীতি দেখবে দেশের জনগণ? আপনার কি মনে হয়… জানান কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।