Market

বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান বা এনবিপি। বাংলাদেশের সিলেট শাখাটি বন্ধের নির্দেশ এসেছে করাচি থেকে। মনে করা হচ্ছে, ধারাবাহিক লোকসান, অনিয়ম এবং বড় ধরণের ঋণ ঝুঁকি নেওয়ায় এখন এই ব্যাঙ্কের অবস্থা টালমাটাল। সূত্রের খবর, গত বছরের শেষে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের ঋণ খেলাপির অঙ্ক ছিল ১ হাজার ৩৭৪.৮ কোটি টাকা। দুর্ভাগ্যের বিষয় হল যে এই ঋণের প্রায় পুরোটাই মন্দঋণে পরিণত হয়েছে। যার দরুন তা আদায় করার সম্ভাবনা একেবারেই প্রায় নেই। ফলে, ব্যাঙ্কের ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের প্রভিশনে ঘাটতি তৈরি হয়েছে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। আর এই ঘাটতি পূরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক রীতিমত চাপ দিচ্ছে। বলা হয়েছে, বেনজির দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণেই আজ অশনি সংকেত ঘনিয়ে এসেছে বাংলাদেশের এনবিপির ওপরে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য, গ্রাহকদের মধ্যে এই ব্যাঙ্ক নিয়ে যেমন তৈরি হয়েছে অনীহা তেমনই আসেনি কোন নতুন গ্রাহক। ফলে প্রতিদিনই এই ব্যাঙ্ককে গুনতে হচ্ছে বড় ধরণের লোকসানের অঙ্ক।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের সুপারভিশন অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান বাংলাদেশে ক্ষতির অঙ্ক গুনেছে প্রায় ১৮৫০ কোটি টাকা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। ২০০৭ সাল থেকেই ঋণ খেলাপি নিয়ে এই ব্যাঙ্কে সমস্যার সূত্রপাত হয় বাংলাদেশে। সেইসময় বেশ কয়েকটি অভিযোগ প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হলেও কোনরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এরজন্য অবশ্য পাকিস্তানের পার্লামেন্টারি প্যানেল দায়ি করেছে ৬১ জন কর্মকর্তাকে। জানা গিয়েছে, ঋণ দেওয়া এবং বিদেশি এই কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রধান কর্মকর্তাদের কোনরকম গাফিলতি ছিল কিনা সেটাই এখন তদন্ত সাপেক্ষ।
ব্যুরো রিপোর্ট