Trending
বঙ্গপসাগরের তলদেশে রয়েছে অফুরান ন্যাচারাল গ্যাস
তলদেশ খুঁড়তেই বেড়িয়ে এল সেই প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার
ওএনজিসি-র বড়সড় সাফল্যে ভাগ্য বদলাতে চলেছে ভারতের
নো-গো জোনের বিধিনিষেধ লঘু হতেই তড়িঘড়ি কাজ শুরু করে ওএনজিসি। সমুদ্র তোলপাড় করে শুরু হয় রিসার্চ। অবশেষে সেই সমুদ্রের গভীরেই সন্ধান মিলল অফুরান প্রাকৃতিক গ্যাসের। যার হাত ধরে বদলে যেতে চলেছে ভারতের ভবিষ্যৎ। যে ন্যাচারাল গ্যাসের ভাণ্ডারের জন্য আগামী কয়েক’শ বছরের জন্য নিশ্চিন্ত ভারত।
উড়িষ্যার মহানদী বেসিন- যেখানে খোঁজ মিলেছে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুতের। এর আগে জাতীয় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই অঞ্চলকে নো-গো জোনের রেস্ট্রিকশনে বেঁধেছিল ভারত সরকার। তাই ইচ্ছে সত্ত্বেও কোনরকম রিসার্চ প্রোগ্রাম চালু করতে পারেনি ওএনজিসি। অবশেষে নিয়মের বাঁধন হালকা হতেই খোঁজ মিলল সেই প্রাকৃতিক সম্পদের। একটি নয়। দুটি অঞ্চলে রয়েছে মজুত অফুরান প্রাকৃতিক গ্যাস, এমনটাই জানিয়েছে ওএনজিসি।
প্রথম যেখানে এই প্রাকৃতিক গ্যাস মিলেছে সেটা হল উকতাল। এটা ৭১৪ মিটার সমুদ্রের নীচে। প্রাথমিক পরীক্ষার পর দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ কিউবিক মিটার গ্যাস এখান থেকে বের হবে। আর অপর যে জায়গা থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলেছে সেই জায়গাটি হল ১,১১০ মিটার সমুদ্রের নীচে। আর এই খবর প্রচারে আসতেই লক্ষ্মীলাভ হতে শুরু করে ওএনজিসি-র। হু হু করে বাড়তে শুরু করে শেয়ারদর। বিগত একমাসের তুলনায় গত দুদিনে রেকর্ড পরিমাণ দাম বেড়েছে ওএনজিসি-র শেয়ারের। যা কার্যত নজির তৈরি করেছে। কিন্তু এই প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত ভারতবাসীর জন্য সুখবর কেন? কীভাবে ভাগ্য বদলাবে এই প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাঁড়ার?
২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন শূন্য ভারত গড়ার লক্ষ্যে অনড় মোদী সরকার। আর সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস একটা গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প মাধ্যম। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গ্যাস দেশের জ্বালানির একটা বড় চাহিদা মেটাতে পারবে। এই প্রাকৃতিক গ্যাস যেটা মাটির নীচে বা সমুদ্রের তলদেশে পাওয়া যায় সেটা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। সার তৈরি করা যায়। আবার সিএনজি হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। এটা বিকল্প জ্বালানির হিসাবে কাজে লাগে। কারখানায় তরল জ্বালানি হিসাবেও এর ব্যবহার হতে পারে। আবার বাড়িতে রান্নার জন্য যে জ্বালানি লাগে সেই কাজেও এটা ব্যবহার করা যায়।
অন্যদিকে ভারতের আমদানি নির্ভরতা কমাতেও সাহায্য করবে এই গ্র্যান্ড ডিসকভারি। ক্রুড অয়েলের মতই কাতার থেকে ৫০% ন্যাচারাল গ্যাস ইমপোর্ট করে ভারত।কয়লার দুর্দান্ত বিকল্প এই ন্যাচসারাল গ্যাস। তাই ২০৩০ সালের মধ্যে ন্যাচারাল গ্যাসের ওপর নির্ভরতা ৬.৮% থেকে বাড়িয়ে ১৫%-এ নিয়ে যেতে চায় ভারত সরকার। একদিঙ্কে কৃষ্ণা-গোদাবরী বেসিনে ন্যাচারাল গ্যাসের খোঁজ অন্যদিকে মহানদী বেসিনে ন্যাচারাল গ্যাসের খোঁজ- আগামীদিনে ভারতের দিন বদলাতে চলেছে, তা বলাই যায়।
এই তেল ও গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার জন্য ভারত সরকার প্রায় এক লাখ বর্গ কিমি এলাকা থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। সেখানে একেবারে জোরকদমে কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, দ্রুত এই উৎসগুলির সন্ধান পেতে চাইছে ওএনজিসি। দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।