Trending
এবার চাঁদে রেললাইন পাতার পরিকল্পনা করছে নাসা। শুনেই কি একেবারে বিষয়টা গাঁজাখুরি মনে হচ্ছে? কিছু করার নেই। কারণ নাসার পরিকল্পনা বলছে সেটাই। শুধু রেললাইন পাতা নয় একেবারে রেল স্টেশন তৈরি করার ব্যপারেও চূড়ান্ত আগ্রহ রয়েছে নাসার। শুরু হয়ে গিয়েছে প্ল্যান প্রোগ্রামিং। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, চাঁদের মাটিতে কি রেললাইন বসানো, রেল স্টেশন তৈরির ভাবনা বাস্তবায়িত হবে? হবে আর সেটাই তো বলব আজকের প্রতিবেদনে।
চাঁদে রেল লাইন বসানো হবে। রেল স্টেশন তৈরি করা হবে। আর সেই লাইন ধরেই চালানো হবে ট্রেন। তবে এই ট্রেনে সওয়ারি কোন মানুষ হবে না। বরং পেলোড ট্রেনের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হবে এক জায়গায় থেকে আরেক জায়গায়। জানা গিয়েছে, যে পদ্ধতিতে চাঁদের মাটিতে এই রেল চালানো হবে তার নাম ফ্লোট বা ফ্লেক্সিবল লেভিটেশন অন আ ট্র্যাক। পুরোটাই চলবে ম্যাগনেটিক লেভিটেশন পদ্ধতিকে ইউজ করে। নাসার প্ল্যান হল, এখানে তিনটে লেয়ারে ফেলা হবে ট্র্যাক। আর সেই ট্র্যাক ধরেই পেলোডগুলো যাতায়াত করবে চাঁদের মাটির এক জায়গা থেকে আরেকটি জায়গায়। নাসা বলছে, ফ্লোটে যে রোবট থাকবে সে আলাদা করে চলাফেরা করতে পারবে না। তার কাজ হবে চাঁদের মাটি থেকে ধুলো সরানো আর প্রয়োজন মত পেলোড নিয়ে আসা নিয়ে যাওয়া করা।
এখানেই জানিয়ে রাখি, চাঁদের মাটিতে গিয়ে কেউ এই রেললাইন পাতবে না। বরং গোটা ব্যবস্থাটাই এখান থেকে করা হবে। তারপর সটান পাঠিয়ে দেওয়া হবে চাঁদে। মহাকাশযান থেকে সটান চাঁদের মাটিতে নামিয়ে দেওয়া হবে রেললাইন। নিত্যদিন এই পেলোডগুলো কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে ট্র্যাকের মাধ্যমে। নাসার পক্ষ থেকে এই গোটা বিষয়টা সামনে আসতেই কার্যত হুলুস্থুলু পড়ে গিয়েছে বিজ্ঞানীমহলে। এবার প্রশ্ন আসতে পারে কবে তৈরি হবে আর কতই বা খরচ হতে পারে? এই সব প্রশ্নের উত্তর এখনো থাকবে ধোঁয়াশার মধ্যে। কারণ পুরোটাই সবেমাত্র রয়েছে নাসার পরিকল্পনার মধ্যে। এর চেয়ে বেশি আর কিছুই জানা যায় নি।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ