Daily

শক্তির প্রয়োজনে সূর্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার দিন এবার শেষ। কারণ, এখন সোজা চাঁদেই পরমাণু চুল্লি বসানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। আর এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আমেরিকার শক্তি দফতরের অধীনে থাকা ‘আইড্যাহো ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি’। নভোশ্চরদের থাকার সুব্যবস্থা করতে, এছাড়াও খনিজ উত্তোলনসহ নানা ধরনের কাজে শক্তির প্রয়োজন মেটাতে এই পরমাণু চুল্লি বসানোর ভাবনাচিন্তা করেছে নাসা।
কেমন হবে এই পরমাণু চুল্লি? নাসা জানিয়েছে, এক্কেবারে অটোমেটিক পরমাণু চুল্লি হবে এটি। পৃথিবী থেকেও কেউ কোনো রকমভাবে কন্ট্রোল করবে না এটিকে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর, সেই চুল্লি একাই চালু হবে আবার একাই বন্ধ হয়ে যাবে। চুল্লিটিকে এমনভাবে বানানো হবে যাতে শক্তি উৎপাদনের প্রয়োজনে সেটিকে এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। চুল্লির ভিতর জ্বালানি হিসেবে থাকবে ইউরেনিয়াম। ওই জ্বালানি যে শক্তি উত্পাদন করবে, তা বিদ্যুতসহ নানা ধরনের শক্তিতে বদলে নেওয়া হবে বিভিন্ন প্রয়োজনে।
পরমাণু চুল্লি বানানোর পরিকল্পনা নিয়ে একটা আন্তর্জাতিক টেন্ডার ডাকা হয়েছে নাসার তরফে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির হলো ওই টেন্ডার জমা দেওয়ার চূড়ান্ত সময়সীমা। চুল্লিটি বানানো হবে পৃথিবীতেই। এরপর সেটিকে নিয়ে যাওয়া হবে চাঁদে। নির্মাতাদের চুল্লির ওজন সম্মন্ধে ওয়াকিবহাল হওয়াও জরুরি। সেই চুল্লির ওজন ১৩ হাজার ২০০ পাউন্ড বা ৬ হাজার কিলোগ্রামের বেশি হলে চলবে না। চুল্লিটিকে এমন হতে হবে, যেন চাঁদের রুক্ষ এবং শীতল পরিবেশেও তা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে একটানা ১০ বছর ধরে কমপক্ষে ৪০ ওয়াট বিদ্যুত্শক্তি উত্পাদন করতে সক্ষম হয়।
নাসা আর ‘আইড্যাহো ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি’-র যৌথ এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফিশান সারফেস পাওয়ার প্রজেক্ট’। আর এই মিশনে সাকসেসফুল হলে এমন পারমাণবিক চুল্লি বানানো হতে পারে লালগ্রহ মঙ্গলেও। আগামী দিনে পৃথিবীর পারমাণবিক শক্তির অসামরিক ব্যবহারের জন্য এই পদ্ধতি খুবই জরুরি হবে।
ব্যুরো রিপোর্ট